ভূমিকা ভালোবাসা সবার জীবনকে কখনও-না-কখনও স্পর্শ করবেই। সঙ্গে অবশ্যম্ভাবীভাবে বিরহও। ভালোবাসা শুধু বিপরীত লিঙ্গের নর-নারীকেন্দ্রিক নয়; ভালোবাসা জীবনপ্লাবী; ভালোবাসা দেশ গণ-মানুষ এমন-কী দেশরক্ষার জন্য জড় আগ্নেয়াস্ত্রকেন্দ্রিকও হতে পারে। তবে একথা অনস্বীকার্য যে ভালোবাসার বোধ প্রথম জাগ্রত করে মা, বাবা, পরিবার এবং এর তীব্রতা মনের মধ্যে প্রকটিত করে তোলে অবশ্যই দয়িত বা দয়িতা (প্রেমিক বা প্রেমিকা)। ভালোবাসার কারণে কখনো মিথ্যে হয়ে যায় সমাজ সংসার, প্রচলিত রীতিনীতি; দেশরক্ষার ভালোবাসার মন্ত্রে মানুষ যখন সঞ্জীবিত তখন লুপ্ত হয় শ্রমিক ছাত্র ভেদ; আবার যৌবনের অমোঘ টানে যখন মানুষ ভালোবাসার ঘোরগ্রস্থ তখন সমাজকে গ্রাহ্য না করেই ভাসিয়ে দেয় তার প্রেমের সাম্পান। প্রদীপের নিচের অন্ধকারের মতোই ভালোবাসারও অন্য পিঠে আছে না-ভালোবাসা। ভালোবেসেছে অথচ দুঃখিত হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর তখনই হৃদয়ের কন্দরে ফুটে উঠেছে বিষাদের ফুল; না-ভালোবাসার তীব্র আক্ষেপ, হাহাকার। এসবের বাইরেও স্বভাবত প্রকৃতি-মগ্ন মানুষ কিছু না ভেবেই সবকিছু সমর্পণ করে আছে প্রকৃতিকে এবং আলোর রোশনাইয়ের মত ঝরে পড়েছে তার মুগ্ধতা- আর এসব নিয়েই আমাদের এই ভালোবাসা না-ভালোবাসার কবিতা। পাঠকদের কাছ থেকে উৎসাহ পেলে আমাদের চেষ্টা সার্থক হবে। বইয়ের কলেবর বড় করাও হবে পাঠকের আগ্রহে।
কবিতাক্রম * বিবৃতি * দুপুর * হঠাৎ নীরার জন্য * বড় বেশি * নীরার অসুখ * কেউ কথা রাখেনি * সত্যবদ্ধ অভিমান * বাবা * উত্তরাধিকার * যদি নির্বাসন দাও