বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া 'অধরা ফাগুন' উপন্যাসটি মানুষের হৃদয়ঘটিত ইব্র অনুভূতিতে ভুগতে থাকা তিন জন নর-নারীর ত্রিভুজ প্রেমের আখ্যান। এই উপন্যাসে ঔপন্যাসিক জেবুননেসা মানুষের আত্মিক বৈশিষ্ট্য, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, ব্যক্তিমানসের পারস্পরিক সম্পর্ক, তাদের প্রেম, আস্থা, বিশ্বাসকে তুলে ধরতে চেয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নোভা 'অধরা ফাগুন' উপন্যাসের মূল নারী চরিত্র। নোভা চরিত্রকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান দুটি চরিত্র-নিলয় এবং অর্ণব নিলয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং অর্ণব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। নোভা নিলয়ের ছেলেবেলার খেলার সাথি, যাকে নিলর সেই ছেলেবেলায় হঠাৎই তার জীবন থেকে হারিয়ে ফেলে। তার মাঝে দেখতে পাই খেলার সাথিকে খুঁজে পাওয়ার আকৃতি এবং দীর্ঘ বিরতির পর সে তার সাথিকে খুঁজে পায়। এদিকে অর্ণব নোভার একমাত্র চাচাতো ভাই। তারা একইসাথে একই পরিবারে বড়ো হয়ে ওঠে। ওদের মধ্যে আছে বন্ধুত্ব, আস্থা, বিশ্বাস আর নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। তাছাড়া দেখতে পাই, সমাজের বিত্তবানদের অনৈতিক ক্ষমতার ব্যবহারে আমাদের জীবন কীভাবে সরল থেকে ক্রমান্বয়ে জটিলতার পাঁকে পড়ে। বন্ধুত্ব, প্রেম, ভালোবাসা সবসময় ব্যকরণের নিয়মে চলে না। সম্পর্কের নানান সমিকরণ নিয়ে গড়া 'অধরা ফাগুন' উপন্যাসটি পাঠকচিত্তে অন্যরকম অনুভব, আবেগ, পুলক ও উপলব্ধি জাগাবে-একথা হলফ করেই বলা যায়।