বাদলের মুক্তিযুদ্ধে যে কীর্তি, মনে হয় তার চাইতেও অনেক বেশি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে যাবে ‘আমার মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশ’। তবে একটা ব্যাপার আমার বোধগম্য হলো না, ওকে যখন মরিচায় অবস্থিত নবী নেওয়াজের কোম্পানীর কোয়াটার মাস্টার, মানে খাদ্যের দায়িত্ব দেয়া হয়, সে তখন নবী নেওয়াজের কোম্পানীর সবাইকে মায়ের মতো আগলে রেখেছিল, খাওয়া পড়ায় একদিনের জন্যে কাউকে কোনো চিন্তা করতে হয়নি; সেই মরিচা নিয়ে কোনো কিছু লেখা নেই। বঙ্গবন্ধুকে যখন পাকিস্তানীরা প্রহসনমূলক বিচারের নামে ফাঁসির আদেশ দেয় তখন এই মরিচা ক্যাম্পেই আমরা পরম করুণাময় আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের কাছে জাতির পিতার জীবন রক্ষায় প্রার্থনা করেছিলাম, দরুদ পাঠ করেছিলাম, রসুলে করীম (সা.) এর উপর মিলাদ শরীফ পাঠ করেছিলাম। অমন চমৎকার মিলাদ শরীফের ব্যবস্থাপনা আমি আমার জীবনে আগে ও পরে এমনকি আজ পর্যন্ত দেখিনি। যার পুরো কৃতিত্ব বাদলের, কমান্ডার ছিলেন নবী নেওয়াজ। কোম্পানী চলতো বাদলের নির্দেশে, বাদলের পরামর্শে। এ নিয়ে বাদলকে শাসন করা হয়েছিল, নবী নেওয়াজকেও তিরস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখেছি নবী নেওয়াজের কোম্পানী আবুল কালাম আজাদ বাদল ছাড়া অন্ধ, পঙ্গ, অচল। আমি আমার জীবনে অত বেঁটেখাটো, অত ছোট, কাউকে অত নিষ্ঠাবান দক্ষ যোগ্য মানুষ হিসেবে দেখিনি। - বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম