‘হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাযি.।’ ওমর রাযি. এর সার্থক পুত্র। পিতা-পুত্রের এমন সার্থক জুড়ি মেলা অসম্ভব প্রায়। যেমন আমল, তেমন আখলাক। যেমন সাহসী, তেমন দয়ালু। যেন ছিলেন ওমরের প্রতিচ্ছবি, রাসুলের মূর্তপ্রতীক। নবীপ্রেম ছিল যার প্রাণসম। নবীপ্রেমে পাগল হয়ে, অর্ধাহারে-অনাহারে কাটিয়েছেন সারাটি জীবন। সুন্নতের অনুসরণই ছিল যেন তার বেঁচে থাকার একমাত্র উপকরণ। হযরত জাবের রাযি. লোকদের বলেন, কেউ যদি রাসুলুল্লাহ সা. এর এমন সাহাবাকে দেখতে চায়, যার মধ্যে রাসুলুল্লাহ সা. এর অবর্তমানেও সুন্নতের ব্যতিক্রম কোনো আমল সংঘটিত হয়নি, তবে সে যেন আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাযি.কে দেখে। কারণ তিনি ব্যতীত আমাদের সবাইকেই সময়ের আবর্তন কোনো না কোনোভাবে পরিবর্তীত করে দিয়েছে। অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ সা. যা পছন্দ করতেন, তিনিও তা পছন্দ করতেন এবং রাসুলুল্লাহ সা. যা অপছন্দ করতেন, তিনিও তা অপছন্দ করতেন। রাসুলুল্লাহ সা. এর সকল আমল আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাযি. হুবহু অনুকরণে সদা সচেষ্ট থাকতেন এবং অনুসরণ করা আবশ্যক বলে মনে করতেন। যার ফলে রাসুলুল্লাহ সা. তাঁর পবিত্র যবানের মাধ্যমে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাযি.কে ‘রাজুলে সালেহ’ (একনিষ্ঠ ব্যক্তি) উপাধিতে ভ‚ষিত করেছিলেন। যে উপাধিলাভের পর তিনি আমৃত্যু তাহাজ্জুদ নামাযের আমল করে গিয়েছেন!