হযরত শেখ সাদী রহ.। যিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আরবি, ফার্সি, হিব্রু, গ্রিক, তুর্কি, ল্যাটিন, উর্দু, হিন্দি, সংস্কৃত, আফগানি ইত্যাদি প্রায় চব্বিশটি ভাষা শিখতে সক্ষম হন। মাত্র ত্রিশ বছর বয়সেই তিনি সাহিত্য, দর্শন, ধর্মতত্ত¡ ও নীতিশাস্ত্রে অসামান্য সাফল্য অর্জন করে ‘মাওলানা’ উপাধিতে ভ‚ষিত হন। দেশভ্রমণ ছিল তাঁর খুবই প্রিয়। ফলে শিক্ষা সমাপ্তির তিনি বের হন দেশ ভ্রমণে। নিজের এ দীর্ঘ জীবনকে হযরত শেখ সাদী রহ. চারভাগে ভাগ করে নিয়েছিলেন। ৩০ বছর লেখাপড়ায়, ৩০ বছর দেশ ভ্রমণে, ৩০ বছর গ্রন্থ রচনায় এবং ৩০ বছর আধ্যাত্মিক চিন্তায়। নিজের উপর বিশ্বাসের দৃঢ়তা থাকলেই কারও পক্ষে এমনটি করা সম্ভব। এছাড়াও ইরানের বিশ্বখ্যাত যেসব কবি-সাহিত্যিক পৃথিবীতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তাঁদের অন্যতম হলেন শেখ সাদী রহ.। উপমহাদেশের প্রত্যেকটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই তাঁর লিখিত কিতাবদ্বয় ‘গুলিস্তাঁ’ ও ‘বুস্তাঁ’ পাঠ্যবই হিসেবে নির্বাচিত। শুধু তাই নয়, হযরত শেখ সাদী রহ. রাসুল সা. এর একজন পাগলপ্রেমী হিসেবেই গুলিস্তা পুস্তকে তার সীমাহীন ভালোবাসা ব্যক্ত করেছেন। একজন প্রকৃত রাসুলপ্রেমী হিসেবেই জগতবাসী তাকে আমৃত্যু স্মরণ করবেন। স্মরণ না করেও যে উপায় নেই; তার প্রমাণ তাঁরই রচিত বিশ্ববিখ্যাত আরবি নাত-