হযরত ফাতেমা রাযি.। বহুগুণে গুণান্বিত একজন মহিলা সাহাবি। তিনি নবীনন্দিনী, এতটুকুই যথেষ্ট ছিল তার প্রশংসার জন্য, তার সু-উচ্চ মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য। কিন্তু বিধাতা তাকে করেছেন আরো সম্মানিতা, আরো প্রশংসার পাত্রী। একবার নয়, কয়েকবার। এ পার্থিব জগতেও তিনি ছিলেন সেরাদের মধ্যে একজন, পরকালে তো তিনিই সেরা রমণী। যেমনটি বলেছিলেন তাঁর স্বামী-চতুর্থ খলিফা হযরত আলী রাযি.- “ফাতেমা দুনিয়ার বুকেও একজন সৎ ও একনিষ্ঠ রমণীর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সেতো আমার কাছে জান্নাতের ফুলসম।” কতটা প্রিয় হলে প্রিয় নবীজী তাঁর প্রিয়কন্যা ফাতেমা সম্পর্কে ঘোষণাস্বরূপ এ কথা বলেন যে, “ফাতেমা আমার শরীরের অংশস্বরূপ। যে তাকে কষ্ট দিলো, সে যেন আমাকেই কষ্ট দিলো।” চন্দ্রমুখী এ সর্দারনীর উসিলায় আমরা আজ মহামূল্যবান এক উপহার পেয়েছি- ‘তাসবিহে ফাতেমি’। যে তাসবিহপাঠ শিক্ষাগ্রহণের পর তার আমল তিনি করে গিয়েছেন আমৃত্যু। সংসারী হবার পাশাপাশি পর্দার পূর্ণ অনুসরণের প্রতিও ছিল তার পরম শ্রদ্ধাবোধ। সমস্ত মানবীয় মহৎ গুণে পূর্ণতার অধিকারী এই মহীয়সী নারীর আলোকোজ্জ্বল জীবনী শুধুমাত্র নারীজাতি নয়; গোটা মানবজাতির জন্যই চিরন্তন গৌরবের উৎস।