হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাযি.। শুধু দান-দক্ষিণা নয়, আমল-আখলাকেও যিনি ছিলেন সর্বাগ্রে। দূরদর্শিতা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, ধনাঢ্যতা, ধর্মপরায়ণতা ও যাবতীয় সৎ গুণাবলি ছিল যার ভেতর পরিপূর্ণ। যার প্রাধান্যতা স্বীকার করেছিল তৎকালীন মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সবাই। শুধু তাই নয়, কুরআনকে একস্থানে সংগ্রহ করার উদ্যোক্তাও যে তিনিই। এছাড়াও সর্বাগ্রে সালাম প্রদানের শুভ প্রথাও কেউ চালু করার সুযোগ পাননি একমাত্র তিনি ছাড়া। তাঁর এসব কল্যাণকর বদান্যতা ও দয়ার বদৌলতে ভূষিত হয়েছিলেন সিদ্দীক নামে। মৃত্যুর বহুকাল আগ থেকেই বহুবার বহুভাবে পেয়েছিলেন জান্নাতের সুসংবাদ। কষ্ট ও মুজাহাদা করেই অর্জন করেছিলেন তিনি এ সৌভাগ্য। তাইতো তাঁকে বলা হয় রাসুল সা. এর পরম বন্ধু এবং তিনিই তো নবীজীর পর সর্বোত্তম মানব। ভেবে দেখুন! কেমন মানুষের ক্ষেত্রে হযরত ওমর রাযি. এ কথা বলেছেন, কেয়ামত দিবস পর্যন্ত আগত সব মুসলমানের আমলনামা এক পাল্লায় রাখা হলে, আর হযরত আবু বকর রাযি. এর আমলনামা অপর পাল্লায় রাখা হলে হযরত আবু বকর রাযি. এর পাল্লায়ই ভারি হবে! তাঁর যথাযথ প্রশংসা কোনোদিনও যথেষ্ট করে লিখতে পারব না। তাই মেনে নিচ্ছি; রাসুল সা. এর প্রশংসার জন্য যেমন স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই যথেষ্ট, তেমনি হযরত আবু বকর রা. এর প্রশংসার জন্য স্বয়ং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই যথেষ্ট।