হযরত ওমর ফারুক রাযি.। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ক্ষণজন্মা ক্ষোভ ধারণকারী এমন সাহবীকে নিয়ে পরবর্তীতে এত লেখালেখি, এত জল্পনা-কল্পনা ও এত গর্ব করা হবে, তা কেউ কোনোদিন কল্পনাও করেনি। পরবর্তীতে যিনি রেখে গিয়েছিলেন নবীপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত! সম্পর্কে তিনি ছিলেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শশুর। তিনিও তো বুঝতে পেরেছিলেন তাঁর শান-শওকত এর পরিমাণ। জীবদ্দশায় একাধিকবার জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত। মানুষটি এটাও জানতেন যে, শয়তানও তাঁর পথে হাঁটার সাহস পেত না বা সাহস করত না। তবু তাঁর জীবন ছিল সত্যিই অভাবনীয়, অকল্পনীয়; খেজুর পাতার চাটাই দিয়ে গড়েছিলেন যিনি তাঁর প্রাসাদ, তাঁর শয়নস্থল। কাঁচা ইটের টুকরো ছিল যার বালিশ। অন্য রাজ্যের দূত এসে বুঝতেও পারত না কিছু। অবাক হয়ে শুধু ভাবত, এ কেমন শাসক, এ কেমন রাজা! ভেবে ভেবে ঈমান গ্রহণও করেছিল কতিপয় দূত। ফলে জন্মেছিল তাদের ভেতর ভয়ের পাশাপাশি শ্রদ্ধাবোধও। এমনকি বাচ্চাদের জামা কেনার টাকাও ছিল না তাঁর; অথচ বাইতুল মালের ধন-সম্পদ ছিল তাঁর পূর্ণ আয়ত্বাধীন। তাইতো আমানতদারীতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মৃত্যুর আগ মুহূর্তেও। শাসন করেছিলেন যিনি অর্ধ পৃথিবী। তাঁর শাসনামলে ছিল না অবিচার-অত্যাচার বা অন্যায়-অনাচারের কোনো উপমা। তাঁর ভয়ে সাহস করেনি কেউ কারো ক্ষতি করতে। মানুষ তো নয়ই, পশুরাও নয়। বরং একই ঘাটে পানি পানের বর্ণিল ইতিহাস তৈরী হয়েছিল তাঁর সোনালী যুগে।