হযরত উসমান গনী রাযি.। যিনি ছিলেন অত্যন্ত লজ্জাশীল একজন সাহাবি। তাঁর লজ্জাধিক্যের ফলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আয়েশা রাযি.কে বলেছিলেন, “আমি কি তাঁর থেকে লজ্জার আশ্রয় নেব না? যার ক্ষেত্রে আসমানের ফিরিশতারাও লজ্জাবোধ করে!” রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহচর্য-সংবদ্ধ, শিক্ষা-দীক্ষা ও তরবিয়ত হযরত উসমান রাযি. এর আখলাক-চরিত্র, আচার-আচরণ, চিন্তা-চেতনা, বিবেক-বিবেচনা ও মেযাজকে এমন অভাবনীয় পদ্ধতিতে সুসজ্জিত করেছে, যেন তিনি ছিলেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামেরই প্রতিচ্ছবি। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জান্নাতে প্রতিটি নবীরই একজন বন্ধু থাকবে, আর সেখানে আমার বন্ধু হিসেবে থাকবে উসমান!” রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ প্রিয় সাহাবি রাযি. সবচেয়ে বড় যে খেদমত আঞ্জাম দিয়েছিলেন; তা হলো, কুরআনুল কারিমের বিন্যাস। সুবিন্যস্তরূপে সাজিয়ে তিনি তা উম্মতের হাতে তুলে দিয়েছেন। যেভাবে আজ বিশ্বের লাখো-লাখো হাফেজে কুরআন হাফেজ হয়েছেন এবং তেলাওয়াত করছেন প্রতিনিয়ত। স্বয়ং হযরত উসমান রাযি.ই তো কা’বায় দাঁড়িয়ে এক রাকাতেই পুরো কুরআন তিলাওয়াত করেছিলেন! বহুদিন গৃহবন্দি থেকে যখন সাহাবায়ে কেরাম উসমান রাযি. কে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তাব দিচ্ছিলেন, তখন তিনি বলেন, আমি কোনোভাবেই তোমাদেরকে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নির্দেশ দিতে পারি না। কেননা, আমাদের সকলকেই একদিন নিজ প্রতিপালকের নিকট একত্রিত হতে হবে!