হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি.। যার ইন্তেকালের পর হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উতবা লোকদের এক সমাবেশে বলেন, “আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. এর মৃত্যুতে মানুষ জ্ঞানের এমন এক বিরাট মূল ধন থেকে বঞ্চিত হলো, যে জ্ঞান তার আগে অন্য কারো ছিল না। কেননা তিনি তো ছিলেন একজন কল্যাণকামী শিক্ষক। ফলে তাঁর বিদায়ে মানুষ গ্রহণযোগ্য স্বপ্নব্যাখ্যাজ্ঞান, বংশপরম্পরাজ্ঞান ও তাফসিরজ্ঞান থেকেও বঞ্চিত হয়ে গেল, হয়ে গেল জ্ঞানের সূর্যাস্ত! হযরত জীবরাঈল আ.কে দুবার স্বপ্ন দেখা এ জগদ্বিখ্যাত সাহাবি; হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. এর সরলতা, নমনীয়তা ও সাবধানতা ছিল সত্যিই শিক্ষণীয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিচয় যেমন দেয়া হয় স্বয়ং ‘কুরআন’ দিয়ে, ঠিক তেমনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. এর পরিচয় ‘তাফসিরুল কুরআন’ দিয়ে দিতেও কেউ সামান্যতম কুন্ঠাবোধ করবে না। কেননা ছায়ার ন্যায় তিনি রাসুল সা.কে অনুসরণ করতেন এবং নিজের মধ্যে সর্বদা বহন করে বেড়াতেন একটি সজাগ অন্তঃকরণ, বরকতময় প্রতিভা এবং প্রখর স্মৃতিশক্তি। তাবেঈ শফিক রহ. বলেন, ওরকম তাফসির আমি আগে-পরে কখনো শুনিনি। আমার ধারণা, পারস্য ও রোমের লোকেরা যদি সেই তাফসির শুনত, তাহলে তৎক্ষণাৎ তারা ইসলাম গ্রহণ করত। কারণ সেতো যাদুময় বক্তৃতা প্রদান করত।