হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালিদ রাযি.। ইসলামের মহাবীর। সিংহ পুরুষ, সাহসী মুজাহিদ। যিনি কখনো পরাজয় বরণ করেননি। ইসলাম গ্রহণ করার আগেও না, পরেও না। তিনি ছিলেন আল্লাহর উন্মুক্ত তলোয়ার। ইসলামের অগ্রগামী সৈনিক। সবার প্রিয়, বিশ^স্ত ও দানবীর; বীর সেনাপতি। তাওহীদের পতাকাবাহী শ্রেষ্ঠ মুজাহিদ। তাইতো স্বয়ং মহান আল্লাহ তাআলা তাকে ভ‚ষিত করেছেন ‘আল্লাহর তরবারী’ নামে। এত সাহসী ও বাহাদুর হওয়া সত্তে¡ও তিনি ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী। তার ভেতর ছিল না সামান্যতম অহংকারের ছাপ। ফলে নবীজী তাকে সবসময় অগ্রগামী সৈন্যদলের প্রধান নিযুক্ত করতেন। প্রতিবার লড়াই করে বহন করেছেন বিজয়ের উজ্জ্বল স্বাক্ষর। তাই বিজয়ের পতাকা যেন মানাতো শুধু তার হাতেই। মক্কার প্রসিদ্ধ উজ্জামূর্তি ও মূর্তির ঘর তিনি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিলেন। তার এমন অসীম সাহস ও দৃপ্তকণ্ঠের কারণে প্রিয়নবী তাকে খুবই ভালোবাসতেন। কেউ যদি তার নামে নালিশ নিয়ে আসতেন, প্রিয়নবী বলতেন, তোমারা খালিদের মনে অযথা কষ্ট দিও না। কারণ সে আল্লাহর তরবারী! হযরত খালিদ রাযি.ও খুবই ভালোবাসতেন প্রিয়নবীকে। প্রিয়নবীর প্রতিটি জিনিসকে। প্রিয়নবীর পবিত্র একটি চুল তার টুপিতে রেখে নেমে পড়তেন যুদ্ধের ময়দানে। সেই কেশ-গচ্ছিত প্রিয় টুপিটি একবার যুদ্ধের ময়দানে পড়ে গেলে তিনি ভীষণ অস্থীরতা অনুভব করেন। এ ভেবে যে, কাফেরদের পায়ের নিচে পড়ে যদি সে চুলটির মর্যাদাহানি হয়! তাই বুঝি প্রিয়নবী তার পদশব্দ চিনতে পেরে খুশিভরা কণ্ঠে বলেছিলেন, খালিদ বড়ই সৌভাগ্যবান! সত্যিই তিনি বড়ই সৌভাগ্যবান ছিলেন। তাইতো বিষ পান করেও ছিলেন জীবিত। আল্লাহর হুকুমে বিষ কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারেনি তার দেহে। যা ছিল শুধু তারই একমাত্র বৈশিষ্ট্য। তার নাম শুনে ভয়ে কেঁপে উঠতো অমুসলিম বীর সৈনিকেরা। তারা বলে বেড়াতো, খালিদ বিন ওয়ালিদ তো এমনই এক অকুতোভয় যোদ্ধা, যিনি শামে রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। শামের গাছপালা আজও তার ভয়ে কাঁপছে...।