হযরত আলী রাযি.। জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত গুণধর একজন সাহাবী। যিনি প্রমাণ করে গিয়েছেন যে, সবজান্তা হলেও দাম্ভিক হতে নেই, অহংকার করতে নেই, বড়াই করতে নেই। এসব উত্তম আচার-আচরণ যে তাঁর ভেতরগত বিষয় ছিল- এমনটিও নয়। বাহ্যিকভাবেও তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন মানবতার উত্তম আদর্শ; দিনমজুরী করে উপার্জন করেছেন জীবিকা। ক্ষুধার্ত সময় কাটিয়েছেন দিনের পর দিন। ধৈর্য এবং নামাযকে বানিয়েছিলেন খাদ্য। ছেড়া-ফাটা কাপড় পরে এমনভাবে দিনাতিপাত করতেন, যেন শাসক হয়েও ছিলেন ফকির! অথচ তাঁর শানেও নাযিল হয়েছে পবিত্র কুরআনের আয়াত! তিনি আখেরাতের ভয়ে সদা তৎপর থাকতেন। আল্লাহভীতি ও রাসুলপ্রীতি ছিল তাঁর সোপান। অনাড়ম্বরতা ও সাদাসিধে জীবনই তিনি খুব পছন্দ করতেন। এ সমস্ত আরো মহৎ গুণাবলির কারণেই তিনি হতে পেরেছিলেন জান্নাতের সর্দারনী’র বর। এছাড়া বিচারকার্যে তাঁর সত্যিই কোনো তুলনা হয় না। যে দক্ষতার প্রশংসায় শ্রদ্ধাভরে তাঁকে স্মরণ করা হয় প্রতি সপ্তাহের পবিত্র দিন তথা জুমুআর দ্বিতীয় খুতবায়। ফলে প্রিয়নবী তাকে খুবই ভালোবাসতেন। প্রিয়নবী তাঁকে কতটা ভালোবাসতেন, তার কিছুটা অনুমেয় হবে প্রিয়নবীর নিন্মাক্ত ৩টি হাদিস দ্বারা- ১. হে আলী! তুমি কি এ কথার উপর রাজি নও যে, তুমি আমার নিকট এতই দামী, যেরূপ হারুন আ. মুসা আ. এর নিকট ছিলেন। ২. যে ব্যক্তি আলীকে কষ্ট দেয়, সে প্রকৃতপক্ষে আমাকেই কষ্ট দিল। ৩. হযরত ফাতেমা রাযি. কে উদ্দেশ্য করে রাসুল সা. বলেছিলেন, “স্মরণ রেখো! আমি তোমার বিবাহ এমন ব্যক্তির সঙ্গে দিয়েছি, যে আমার বংশের মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয়।”