মূল : শায়খ মুহাম্মাদ শুয়াইব সারওয়ার ইমাম আবু হানীফা রহ.। বুদ্ধিমত্বা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় যিনি ছিলেন যুগশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। যুগশ্রেষ্ঠ আলেম। তার জ্ঞানদ্বীপ্তি, উপস্থিত বুদ্ধি এবং ব্যবসায়িক প্রজ্ঞার কথা আজও সবার কাছে সমাদৃত, স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য। এ ছাড়াও তার প্রতিটি কথা ছিল বুদ্ধিদীপ্ত। তাঁর এমন অনেক বুদ্ধিদীপ্ত কথা আজও বিভিন্ন ভাষায় লিপিবদ্ধ রয়েছে নানারঙের কালিতে। স্বয়ং ইমাম মালেক রহ. তার প্রশংসা করতে গিয়ে বলেছিলেন, “আবু হানিফা রহ. এমন এক ব্যক্তি, তিনি যদি ইচ্ছা করতেন, এই স্তম্ভটিকে সোনা প্রমাণিত করবেন, তবে নিঃসন্দেহে তিনি তা প্রমাণ করতে সক্ষম!” মুজতাহিদ ইমামদের মধ্যে তাঁর জন্মই সর্বপ্রথম। উম্মতের সর্বসম্মতিক্রমে যিনি বিশিষ্ট একজন তাবেঈ। যদিও বিশ বছর বয়সে তিনি ইলমে দ্বীন শিক্ষার প্রতি মনোনিবেশ করেন। কিন্তু অতি দ্রæত তিনি ইলমে আদব, ইলমে কালাম এবং ইলমে ফিকহ অর্জন করার সুখ্যাতি ও সুপ্রসিদ্ধি অর্জন করেন। তিনি ছিলেন ফিকহ শাস্ত্রের আবিষ্কারক। ফিকহ ও ইসলামী আইন সংকলন ও সম্পাদনা করে, ৪০ জন ফকিহকে সঙ্গে নিয়ে প্রায় ১২ লাখ ৭০ হাজারের ঊর্ধ্বে মাসআলা তিনি মুসলিমজাতিকে উপহার দিয়ে গেছেন। তাইতো ইমাম আবু হানিফার রহ. এর মাযহাব এবং তার নামযুক্ত মাসআলাগুলো খুব দ্রæত ছড়িয়ে পড়েছে জুড়ে। হযরত আনাস ইবনে মালেক রাযি.সহ প্রায় আটজন সাহাবায়ে কেরামের সাক্ষাৎলাভে ধন্য হওয়া এ ইমাম প্রায় ত্রিশ বছর পর্যন্ত রোজা রেখেছেন। চল্লিশটি বছর রাতে ঠিকমতো ঘুমোতে পারেননি। ছিলেন তৎকালীন সবচেয়ে বড় আবেদ, সবচেয় বড় যাহেদ। ছিলেন সবচেয়ে বেশি সৎগুণের অধিকারী। দুনিয়াবিমুখ ও নির্মোহ হবার কারণে জালেম সরকার কর্তৃক জেলখনায় বিষপ্রয়োগের মাধ্যমে তাকে শহীদ করা হয়েছিল। সুন্নতের উপর পূর্ণ প্রতিষ্ঠিত থাকা অবস্থায়ই হয়েছিল এ মনীষীর মৃত্যু...!