বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া বর্তমান কক্সবাজার জেলা বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু প্রাচীনকালে হালের কক্সবাজার অধুনালুপ্ত স্বাধীন আরাকানের আওতাধীন একটি অংশ ছিলো। সে কারণে কক্সবাজারের প্রাচীন ইতিহাসের তথ্য পাওয়া খুবই দুরূহ। চট্টগ্রাম শহরের প্রাচীন তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেলেও পাহাড়, জঙ্গলে পরিপূর্ণ কক্সবাজারের তেমন গুরুত্ব ছিলো না বলেই এর প্রাচীন কোনো তথ্য-উপাত্ত কোথাও লিপিবদ্ধ নেই। চট্টগ্রামের ইতিহাস, ত্রিপুরার ইতিহাস, চাকমা রাজাদের ইতিহাস, আরাকানের ইতিহাস থেকে তথ্য-উপাত্ত, সূত্র থেকেই কক্সবাজারের ইতিহাস রচনা করার কাজটা, কিন্তু খুব সহজ নয়। সবে ধন নীলমনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ড. ফ্রান্সিস বুকানন নামের জনৈক অফিসার কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা ভ্রমণ করে লিখিত রিপোর্ট দিয়েছিলেন। সেই রিপোর্টই কক্সবাজারের তৃণমূলের প্রথম লিখিত কোনো ইতিহাস। গ্রন্থে কক্সবাজারের ইতিহাসের পাশাপাশি কক্সবাজার সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারনা দেওয়া, কক্সবাজারের রাজনীতি, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, সমাজনীতি, শিক্ষা ব্যবস্থা, ভাষা- সাহিত্য, সাহিত্যিক, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, পর্যটন ব্যবস্থা, স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যাবে। ১৯৮১ সালে যেখানে কক্সবাজার জেলার শিক্ষার হার ছিলো ১০ ভাগের কিছু বেশি সেখানে ২০২২ সালে শিক্ষার হার ৭২ ভাগের কাছাকাছি। এ সম্পর্কে এই গ্রন্থে একটি ধারনা পাওয়া যাবে