বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থপঞ্জিতে বহুবার তালিকাভুক্ত বিজ্ঞান লেখক গ্রিন মিজানুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য গবেষকবৃন্দ দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগের সাথে খেয়াল করেছেন যে, “যান্ত্রিক ও ইলেকট্রনিক সভ্যতা বিকাশের সাথে পাল্লা দিয়ে গণমানুষের, বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মদায়, ভ্রাতৃত্ববোধ, পারিবারিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম, বৈশ্বিক দায় বিকশিত হয়নি!” তাই লেখকবৃন্দ “চিন্তা এবং বোধশক্তি” উন্নয়ন করার পথে বিশ্ববাসীকে Cognitive Learning Process (চিন্তন ও বোধন সংক্রান্ত শিক্ষণ পদ্ধতি) উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় চালিত করতে চান; যা অর্থনৈতিক, মেধাজাগতিক ও লিঙ্গীয় আচরণভঙ্গির সম্পাদক হিসাবে কাজ করতে পারে। কক্সবাজার বাংলাদেশ পর্যটন মনোগ্রাফ (Tourism Monograph of CoxsBazar Bangladesh), International Standard Book Number, ISBN: "9789849608806" গ্রন্থখানি ভ্রমণ ও পর্যটন বিষয়ক বিশ্বের প্রথম পূর্ণাঙ্গ প্রকরণগ্রন্থ (মনোগ্রাফ)। এটি আত্ম উন্নয়নমূলক মহাগ্রন্থ, যার শব্দসংখ্যা অন্তত দুই লক্ষ। সাবলীলভাবে ইংরেজি শব্দভাণ্ডারের বহুলাংশের সাথে পরিচিত হয়ে বাক্য গঠন ও অনুপম ভাষাশৈলী অর্জন করতে এটি সকল বয়সের পাঠকের জীবনে অসংখ্য মাইলফলক রচনা করবে। ইংরেজি ভাষার দক্ষতা অর্জনের পথে এর একটি বই বহু পাঠকের প্রত্যেকের হাজার হাজার টাকা ও শিক্ষকের চাহিদা সাশ্রয় করতে পারে। বর্ণনাসহ এতে টেকনিক্যাল আলোকচিত্রের সংখ্যা প্রায় চারশত। বইটি পাঠের মধ্য দিয়ে দেশপ্রেম, মননশীলতা, সৃজনশীলতা, উন্নত জীবনের স্বপ্ন দর্শন বেগবান হবে। মাঠের পরিবেশ কল্পনা বা বাস্তবে অবগাহন করে পাঠক কোনো বিশেষ মানসিক চাপ ছাড়াই নিজের মেধাজাগতিক জীবনমান উন্নয়ন করতে পারবেন। কাপড়ের উন্নত বাঁধাই ও পলিভিনাইল এলকোহল (gum) এর সংস্রবে টেকসই বাঁধাই করা হয়েছে বিধায় এটি গণ-ব্যবহারের উপযোগী। প্রতি বর্গমিটারে ১২০ গ্রাম আর্ট পেপার দ্বারা দৃষ্টি-নান্দনিক বর্ণে রচিত ও গ্রন্থিত হয়েছে। বহুমাত্রিক উপস্থাপনার বিচারে এটি বাংলাদেশের প্রকাশনার ইতিহাসে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে সন্দেহ নাই। তাছাড়া Chicago Manual of Style অনুসরণে এটিকে বিশ্বব্যাপী সবধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে রেফারেন্স গ্রন্থ হিসাবে প্রচলন ঘটাতে লেখকবৃন্দ অনন্য পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনজন লেখক ও আরও তিনজন অবদানকারীর প্রায় ৯ বছর সময়কালের নিরলস প্রচেষ্টার ফসল এটি। বিশ্বকে নতুন মানবীয় উচ্চতায় নেবার পথে তাঁরা সর্বোচ্চ ত্যাগ এবং কায়িক ও মেধাশ্রমের অনুপম দৃষ্টান্ত রেখেছেন। এর ফলে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা তুলে দাঁড় করাতে গণমানুষ এক অনন্য মেধাসম্পদ ব্যবহারের সুযোগ পেল। এই গ্রন্থের উপস্থাপনা সংক্রান্ত বিভিন্ন মডেল (সুবিধাযোজনকারী ব্যবস্থাদি - benefactor systems) অনুসরণ করে বিশ্বের যেকোনো দেশ ও জাতি ভাগ্য উন্নয়নের নিরিখে নতুন এক কর্মচঞ্চলতার সাথে মানিয়ে নিতে পারবে, যেখানে বাড়তি বিনিয়োগ বা অবকাঠামো উন্নয়নের বিশেষ প্রয়োজন হবে না। বাংলাদেশ পঠন সংক্রান্ত ১৪ টি অধ্যায় এবং গ্রন্থগর্ভে ৫২ টি অধ্যায় - এগুলো ব্যক্তির অর্থনৈতিক জীবনমান উন্নয়নের হাতিয়ার। বিশ্বের প্রায় সকল দেশে এইসব মডেলের পরিপূরক অবকাঠামো ও রাষ্ট্রের অঙ্গীয় কাঠামো রয়েছে; যেখানে যুদ্ধ বিগ্রহ কমিয়ে শান্তির পৃথিবী গড়তে মানুষ মানবিক দৃষ্টি নিয়ে পথ খুঁজে চলেছেন। গ্রন্থখানি সেই অভাব পূরণের পথে ব্যাপকভাবে প্রচার হবার যোগ্য বলে লেখকবৃন্দ মনে করেন। অর্থাৎ গ্রন্থখানিকে পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও বৈশ্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে লেখক ও অবদানকারীবৃন্দের পক্ষ থেকে জ্যামিতিক উপহার হিসাবে মনে করা যেতে পারে। মানবজাতি ঐক্য রক্ষার প্রয়োজনে, তথা সৎ ও নৈতিক প্রয়োজনে অনেকাংশে দিশাহারা! সেখানে বৈশ্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে শুধু নয়, গ্রন্থখানিকে সৃজনশীল সাহিত্য ও সুখপাঠ্য বিনোদন হিসাবে পাঠকের মনের মুকুরে মুক্তির বাতিঘর রূপে নিভৃতে দ্যুতি ছড়াতে থাকুক; কেননা বর্তমান পৃথিবীর মানুষ পরিশ্রম ও ঘাম বিসর্জন ছাড়াই - মুক্তি, বিপ্লব ও টেকসই সুখ চায়! আসুন আমরা মুক্তির পথগুলোকে আলোকিত করি।