লিন্ডসে অ্যাবির একমাত্র ছোট বোন, বয়স দশ। যে কোন পুরানো জিনিসই তার কাছে ‘ডিসগাস্টিং’ মনে হয়। পুরাতন বাড়িটি নতুন রূপে সাজানো হলেও লিন্ডসের মনঃপুত হয়নি। কোন কিছু মনঃপুত না হলে তার চেহারায় বিরক্তির ছাপ ফুটে ওঠে। ‘আগের বাড়িটাই ভাল ছিল। কী অসাধারণ সুইমিংপুল!’ ‘আর ও বাড়ির খরচও ছিল অসাধারণ,’ বললেন ডিয়ানা। একটা কার্ডবোর্ডের বাক্স সশব্দে করে নামিয়ে রাখলেন সামনের ছোট বারান্দায়, আঙুল দিয়ে চোখের উপরে পড়া চুল ঠেলে সরালেন। ‘আগের বাড়িতে গাছপালার খুব অভাব ছিল,’ বলল অ্যাবি। ‘এখানে তা নেই। বাড়ির পেছনের ওই জঙ্গলে তুই গাছ-বাড়ি বানিয়ে নিতে পারবি, লিন্ডসে।’ লিন্ডসের চেহারা থেকে বিরক্তির ভাবটা চলে গেল। ‘গুড আইডিয়া,’ মন্তব্য করলেন ওদের মা। তালায় চাবি ঢুকিয়ে মোচড় দিলেন। খুলে গেল সদর দরজা। ‘জায়গাটা সুন্দর, না? এ বাড়িতে আজ আমাদের প্রথম রাত।’ কোথাও যাবার ব্যাপারে কোন রকম উৎসাহ নেই অ্যাবির। বাবার সাথে মা’র ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে বছর চারেক আগে, ও বাড়ির সুদের হার দিন দিন বেড়ে চলছিল। মা’র পক্ষে প্রতি মাসে অতগুলো টাকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তাই পুরানো বাড়িটা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় ওরা। অবশ্য তাই বলে শহরের বাইরে চলে যায়নি তারা, নিজেকে মনে করিয়ে দিল অ্যাবি। আগের স্কুলেই যাবে ও, সেখানে পুরানো বন্ধু-বান্ধবরাই থাকছে। এ বছর মার্ক হেলপার্ন হয়তো ওকে প্রেম নিবেদন করে বসতেও পারে।