গভীর রাত। চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। পাশে দাঁড়ানো মানুষটিকে ও চেনা দায়। এমন আঁধার রাতে কেউ সহজে বাইরে বের হতে চাইবে না। কিন্তু সুমন্তকে বের হতেই হলো। আজকে বিকেলে সে এই গাঁয়ে এসে হাজির হয়েছে। চারিদিকে গভীর জঙ্গলে ঘেরা এই গ্রাম। কোথাও তেমন থাকার জন্য সুব্যবস্থা নেই। তবু ও সুমন্তকে খুঁজে নিতে হয়েছে থাকার জন্য গ্রামের বাজারের মধ্যে একটি সাধারন মানের হোটেল। সুমন্ত সেখানে খানিকক্ষণ বিশ্রাম করেই সন্ধ্যের পর বেড়িয়ে পরেছিল। বসের নির্দেশ অনুযায়ি প্রথমে গ্রামটা ঘুরে দেখে নিলো সুমন্ত। গ্রামের মধ্যে কয়েকটি বাজার রয়েছে। আর গ্রামের লোকজনের সংখ্যা ও বেশি। যদি ও শহর থেকে গ্রামটা খানিকটা দূরে তবুও এখানে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে বহুদিন আগেই। সুমন্ত বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছে গ্রামের ঘর বাড়ি আর বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা দেখেই। ঘুরতে ঘুরতেই সুমন্ত গভীর রাত করে ফেলল। কেননা তার এবারের অপারেশন রাতেই সমাধান করতে হবে। সুমন্তর বস তাকে ঠিকানাটা দিয়ে বলেছিল ওখানে রাতে ভূতের কান্না শোনা যায় আর নানান ধরনের বিকট শব্দ হয় যার ফলে যে বাড়িতে ঐ শব্দ শোনা যায় সে বাড়ির দুজন সদস্য খুবই ভয়ের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। যাও দেখ কিছু উদ্ঘাটন করতে পারো কিনা। জ্বি আচ্ছা বলে সুমন্ত ঠিকানাটা সঙ্গে নিয়ে ভোরবেলাই এ গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। আর বিকেলবেলা পৌঁছেই সে রাতে কি করবে তার প্ল্যান করে নিয়েছিল। চারিদিকে গভীর জঙ্গল আর এরই মাঝখানে এই ছোট্ট গ্রাম। ঘোর অন্ধকারে সুমন্তর কিছুটা জটিলতা লাগছিল মনের মধ্যে নাকি একাকিত্ব সুমন্তকে কিছুটা ভীতু করে দিচ্ছে। যে বাড়িতে ভূতের কান্না শোনা যায় সেই বাড়িটা সন্ধ্যে বেলাই সুমন্ত চিনে রেখেছিল গ্রামের এক পথচারির কাছ থেকে। নিজেকে খুব একা লাগছিল সুমন্তর। যদিও তার সাহসে ঘাটতি নেই, কিন্তু ৭