জাপান একাধিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে একটি অতি উজ্জ্বল নাম।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরিয়ে এসে মাত্র দুই দশকের ব্যবধানে জাপান অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা ও সমৃদ্ধি অর্জনে সমর্থ হয়েছিল। কিন্তু সেখানেই সে থেমে থাকেনি। পরবর্তী দুই দশকে জাপানের অগ্রগতি আরো বিস্ময়কর। লাগসই উচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত শিল্পায়নের দ্বারা জাপান ওই সময়ের মধ্যে তার একদা বিজেতা রাষ্ট্রগুলোকে পেছনে ফেলে এগিয়ে এসেছে একেবারে সামনে। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার গড়ে উঠেছে বিশাল বাণিজ্যিক উদ্বৃত্ত (Balance of payments surplus). অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, অনেক আমেরিকানই হয়ত এখন ভাবে যে, শেষ অবধি যুদ্ধটা কে জিতল-পশ্চিমা দেশগুলো না জাপান? গোটা বিশ্বের সঙ্গেও জাপানের বাণিজ্যিক উদ্বৃত্ত ছিল এ বছর জুলাই মাসে পাঁচ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এই অবস্থা চলতে থাকলে এর পরিমাণ এই পঞ্জিকা বছরেই আরো অনেক বেড়ে যাবে। ১৯৮৫ সাল থেকে জাপানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার একটানা নিরবচ্ছিন্ন গতিতে এগিয়ে চলেছে। ১৯৯০ সালে জাপানের গড় জাতীয় আয় (GNP) বাকি শিল্পোন্নত দেশগুলোর সম্মিলিত GNP থেকে এক-তৃতীয়াংশ বেশি হয়েছিল। বিস্ময়কর পরিসংখ্যান বটে।