মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় পাঠক হয়তো এই বইটিকে মূলধারার ইতিহাসের বই বলে বিবেচনা করবেন না! লেখক নিজেও স্বীকার করেন না। এই বইয়ের পাঠ অভিজ্ঞতায় যখন আমরা একটি সেক্টর বা অঞ্চলের নামে বইটির নামকরণের প্রস্তাব দিয়েছিলাম লেখক রাজি হননি। যেহেতু নির্দিষ্ট একটি সেক্টর বা অঞ্চলের সামগ্রিক মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই বইটি রচিত হয়নি, লেখক একটি খণ্ডাংশকে পুরো একটি অঞ্চল বা সেক্টরের ইতিহাস বলাকে ইতিহাসের অসত্য ও নিজের অসততা মনে করেন। তাছাড়া এই বইটি ইতিহাসগ্রন্থ না বলে লেখকের ব্যক্তিগত উপাখ্যান ও তার দৃষ্টিতে মুক্তিযুদ্ধের পর্যালোচনা বলতেই তিনি স্বস্তিবোধ করেন। আমরা একজন মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে তাঁর যুদ্ধবর্ণনার মধ্য থেকে যা পাই তাকি কোনো ইতিহাসের খণ্ডিত অংশ? আমরা তা মনে করি না। এক একজন মুক্তিযোদ্ধার ত্যাগ ও বীরত্বের গল্পই মুক্তিযুদ্ধের মূলধারা। লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ হিল সাফি ছাত্র জীবনে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না। ছিলেন হকি ও বাস্কেটবল খেলোয়ার। একাত্তরের পাকিস্তানী বাহিনীর বর্বরতা লেখককে ঘরছাড়া করে। এক বন্ধুকে নিয়ে চলে যান ভারত, প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে স্বগৌরবে যুদ্ধ করেন। সেইসব যুদ্ধদিনের গল্পই আমাদের গৌরবোজ্জল মুক্তিযুদ্ধ।