গল্প-উপন্যাসে এমন কিছু চরিত্র থাকে, যেগুলো অজান্তেই দাগ কেটে চায় পাঠকের মানসপটে। নাড়িয়ে দেয় চিন্তার জগৎকে। পাঠককে নতুন করে ভাবাতে বাধ্য করে। সন্ধানীও তেমন একটি চরিত্র। তবে এটি গল্প-উপন্যাসে বর্ণিত নায়িকার মতো কোনো চরিত্র নয়। এই চরিত্র প্রতিনিধিত্ব করেছে সত্যান্বেষী এক নারীর। যে নারী সেক্যুলার শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এবং সনাতন পরিবারে জন্ম নেওয়ার পরেও গতানুগতিক ধারায় পরিচালিত করেনি নিজেকে। আর আট-দশটা সনাতন ধর্মাবলম্বীর মতো চোখ বন্ধ করেই মেনে নেয়নি সনাতন ধর্মের প্রচলিত রীতি-নীতিকে। আশ্রয় নেয়নি মূর্তিপুজো নামক সনাতন পৌত্তলিকতার। সে খুঁজে বেড়িয়েছে সত্যকে। সন্ধান করেছে মুক্তির পথ। কল্যাণের পথ। এ পথে সে বাঁধার সম্মুখীন হয়েছে বহুবার। হাসি-ঠাট্টার শিকার হতে হয়েছে তাকে, শুনতে হয়েছে নিকটাত্মীয়ের গালমন্দ, সইতে হয়েছে বন্ধু-বান্ধবদের তাচ্ছিল্য, তবুও সে হাল ছাড়েনি। সত্যকে খুঁজে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে সে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সন্ধানী কি সত্যকে খুঁজে পেয়েছিল? সনাতন ধর্মের পৌত্তলিক রীতিনীতি ছেড়ে দিয়ে সত্য ধর্মের দিকে ফিরে আসতে পেরেছিল? পেরেছিল কি সংশয়ের আঁধার কাটিয়ে ওঠে সত্যের আলোয় অবগাহন করতে? জানতে হলে পড়ুন “সন্ধান” বইটি।