কালজয়ী মার্কিন উপন্যাসিক আর্নেস্ট মিলার হেমিংওয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের ওক পার্কে ১৮৯৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ডাক্তার ও স্পোর্টসম্যান পিতার ছ' সন্তানের ভিতর তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। স্কুলের পড়াশোনায় ভালো হওয়া সত্ত্বেও পরপর দুবার বাড়ি থেকে পালিয়ে যান হেমিংওয়ে। ১৯১৭ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি লাভ করেন এবং ক্যানসাস এর সিটি স্টার পত্রিকার রিপোর্টার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে একজন ভলান্টিয়ার অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার হিসেবে ইটালিয়ান ফ্রন্টে যোগ দেন হেমিংওয়ে। এ সময় তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন এবং পদক পান। বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালীন সময় তিনি পুরোপুরি সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন এবং অচিরেই মার্কিন সাহিত্যে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী বলিষ্ঠ অথচ অনিন্দ্য সুন্দর এক ধারা প্রবর্তন করেন। সাহিত্যিক জীবনের অধিকাংশ সময়ই তৎকালীন সাহিত্য ও সংস্কৃতির লীলাভূমি প্যারিসে অবস্থান করেন হেমিংওয়ে। তিনি ছিলেন একাধারে সাহিত্যিক, সৈনিক, সাংবাদিক এবং একজন প্রেমিক পুরুষ। তাঁর বিখ্যাত বইগুলোর ভেতর এ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস (১৯২৯), ডেথ ইন দ্য আফটারনুন (১৯৩২), ফর হুম দ্য বেল টোলস (১৯৪০), দি ওল্ড ম্যান আন্ড নানী (১৯৫২) ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ১৯৫৪ সালে 'দি ওল্ড ম্যান আন্ড দ্য সী' উপন্যাসের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন হেমিংওয়ে। জীবনের শেষ ভাগ কিউবাতে কাটান তিনি। ১৯৬১ সালে বন্দুক দিয়ে আত্মহত্যা করেন মহান মুখস্তষ্ঠা সাহিত্যিক হেমিংওয়ে।