নাহার কামাল আহমদ পিতা-ড. এম. ওসমান গণি। মাতা-বেগম শামসুন্নাহার গণি। স্বামী-অধ্যাপক ড. কামালুদ্দীন আহমদ। নাহার কামাল আহমদ-এর জন্ম বৃহত্তর ময়মনসিংহ তথা বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলাধীন হোসেনপুর উপজেলার আড়াইবাড়িয়া গ্রামে, নানার বাড়িতে। পৈত্রিক নিবাস কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়ার বৈরাটিয়াপাড়া গ্রাম। তাঁর শৈশব-কৈশোরের কিছু সময় কেটেছে গ্রামে। পিতা ড. এম. ওসমান গণি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন । তিনি বিদেশে যেমন রাষ্ট্রদূতের দাত্বি পালন করেছেন তেমনি দেশেও বিভিন্ন সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে দীর্ঘসময় দায়িত্বপালনকারী উপাচার্য। পিতার কর্মস্থল পরিবর্তনের ফলে নাহার কামাল আহমদেরও বারবার স্কুল বদল করতে হয়। তবে এর ফলে তাঁর শিক্ষাজীবন ব্যাহত হয়নি । তিনি ম্যাট্রিক ও ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন । ছোটবেলা থেকেই তিনি লেখালেখিতে অভ্যস্ত। পরিবারের বিদ্যানুকূল পরিবেশ ও বৈচিত্র্যময় জজীবন তাঁকে লেখক হয়ে উঠতে সহায়তা করে। নাহার কামাল আহমদের স্বামী প্রফেসর কামালুদ্দীন আহমদও ছিলেন বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী । তিনি ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর এবং খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। ছিলেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তাঁর উৎসাহে নাহার কামাল আহমদ বিয়ের পর আবার পড়াশুনা শুরু করেন এবং অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক পাশ করেন। পাশাপাশি চালিয়ে যান তাঁর লেখালেখির চর্চা। বর্তমানে তিনি দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখির পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবৎ ‘হেমন্তিকা’, ‘নিজেরা শিখি' ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। সুলেখিকা নাহার কামাল আহমদ একজন সার্থক জননী ১ তাঁর পাঁচ পুত্র ও দুই কন্যা স্ব স্ব ক্ষেত্রে অত্যন্ত সফল ও সুপ্রতিষ্ঠিত।