আমিরুল মুমিনীন আলী (আ.)-এর শেখানো ৭০টি ইস্তিগফার মূলতঃ রিযিক বৃদ্ধি এবং যেসকল গুনাহ সম্পর্কে আমরা বেখবর সেগুলো সম্পর্কে আমাদেরকে অবগত করতে আমিরুল মু’মিনীন (আ.) এই ইস্তিগফারের বিশেষ পদ্ধতি আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন। আমিরুল মু’মিনীন আলী (আ.)-এর শেখানো এই ৭০টি ইস্তিগফারে এমন কিছু রয়েছে যা সম্পর্কে সাধারণ মুসলমানরা তো বটেই, হয়ত কোনো কোনো আলেমও বেখবর। মহান আল্লাহর প্রতি মানুষ নিজের ঔদ্ধত্য, অবাধ্যতা, ধৃষ্টতা ও দাম্ভিকতা স্বীকার করে নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশের মাধ্যমে অনুতপ্ত অবস্থায় কীভাবে তাঁর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয় তার নজিরবিহীন শিক্ষা এখানে আমিরুল মু’মিনীন (আ.) আল্লাহর বান্দাদের উদ্দেশে বর্ণনা করেছেন। জানা ও অজানায় যেসকল গুনাহে আমরা প্রতিনিয়ত লিপ্ত হয়ে থাকি সেগুলোকে সূ²ভাবে আমাদেরকে শিক্ষা দিয়ে এ সকল মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি (আ.)। মনোযোগ সহকারে কোনো আল্লাহর বান্দা যদি এ পুস্তিকাটি অধ্যয়ন করে তাহলে প্রথমত, তার প্রতি মহান আল্লাহর করুণা, ক্ষমা, অনুগ্রহ ও নিয়ামত ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে অবগতি লাভ করবে। দ্বিতীয়ত, এ সকল নিয়ামতের বিপরীতে তাঁর মহান সত্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা না জানিয়ে প্রাপ্ত নিয়ামত ব্যবহার করে কীভাবে তাঁর নাফরমানি করছে তা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবে এবং নিজের কর্মকাণ্ডের প্রকৃত রূপ সম্পর্কে জানবে। তৃতীয়ত, মহান আল্লাহর কৃপায় আল্লাহর নবি (স.) মারফত যে জ্ঞান ভান্ডারের উত্তরাধিকারী আমিরুল মু’মিনীন (আ.) হয়েছিলেন তার একটি ঝলকও দেখতে পাবে। হয়তবা এই ঝলকই তাকে মহানবি (স.)-এর আনীত ঐশী নির্দেশনার দিকে পথ দেখাবে। সর্বশেষে সকল মানুষের উপকারে আসে এমন একটি কাজের তৌফিক লাভ করার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে শোকরগুজারি করছি। পাশাপাশি যাঁরা এ প্রকল্পকে সফল করে তুলতে সহযোগিতা করেছেন তাঁদের জন্য মহান প্রতিপালকের দরবারে ইহ ও পরকালীন প্রশান্তি, সুখ ও সফলতা কামনা করছি। একটি নমুনা: ৬৪. হে আল্লাহ্! তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি ঐ সব গুনাহ থেকে, যেগুলো তোমার স্মরণকে ভুলিয়ে দেয় এবং তোমার সতর্কবাণী থেকে গাফিল (অন্যমনস্ক) ও উদাসীন করে ফেলে; অথবা তোমার আদেশ-নির্দেশ থেকে আমাকে নিরাপদ ভাবতে শেখায়; অথবা তুমি ব্যতীত অন্য কারো কাছে রুজি চাওয়ায় প্রলুব্ধ করে; অথবা তোমার নিকট বিদ্যমান কল্যাণ থেকে আমাকে নিরাশ করে। সুতরাং, দরুদ ও সালাম পাঠাও মুহাম্মাদ ও তাঁর বংশধরের উপর এবং আমার সকল গুনাহ ক্ষমা করে দাও, হে সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমাশীল!