"শান্তিবাহিনী : গেরিলা জীবন" বইটির শেষের ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ অস্ত্র হাতে যে পাহাড়ি যুবক যুদ্ধে গিয়েছিল সে ফিরে এসেছে। গেরিলা জীবন কেড়ে নিয়েছে তার যৌবন। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’ তাকে যুদ্ধ বিরতির নিশ্চয়তা দিয়েছে। তবে দিতে পারে নি স্বাভাবিক জীবন যাপনের | নিশ্চয়তা। কেউ হতাশ, কেউ ক্ষুব্ধ। বইটির লেখক সাংবাদিক গােলাম মাের্তোজা। গিয়েছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামে, শান্তিচুক্তির প্রায় দুই বছর পর ঘুরেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের আনাচে-কানাচে। কথা বলেছেন সন্তু লারমাসহ শান্তিবাহিনীর গেরিলা কমান্ডারদের সঙ্গে। গেরিলা কমান্ডাররা বলেছেন তাদের অপারেশনের অপ্রকাশিত নেপথ্য ঘটনা। ব্যাখ্যা করেছেন তাদের যুক্তিতে এই যুদ্ধের ইতিবৃত্ত। যুদ্ধ শেষে জঙ্গলের সেই অসীম সাহসী যােদ্ধা এখন কর্মহীন, বেকার। অথচ তার চোখে স্বপ্ন আছে, বুকে আছে সাহস, নেই বাস্তবায়নের সঠিক কাঠামাে। হাতের অস্ত্র জমা দিয়ে সে দেখেছিল যে নতুন জীবনের স্বপ্ন, তা থেকে যাচ্ছে কল্পনাতেই। বিদ্রোহী জীবনের পর এই স্বাভাবিক সমাজ জীবনে কেমন কাটছে গেরিলাদের দিন, কেমন ছিল যুদ্ধ জীবন, হাতে কী অস্ত্র ছিল, কীভাবে আসত সেই অস্ত্র- এসব অপ্রকাশিত নেপথ্য কাহিনী নিয়েই এই বই।
পত্রিকায় লেখা বা টেলিভিশনে কথা বলার পাশাপাশি তাই গত কয়েক বছর সেখানেও কিছু লেখা হয়েছে নিজের তাগিদেই। ফেসবুকে লেখা চলমান রাজনৈতিক ঘটনার বিশ্লেষণগুলাে তুলনামূলক অনানুষ্ঠানিক বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া বা মন্তব্য। সেই তাৎক্ষণিক তুলনামূলক অনানুষ্ঠানিক কিছু লেখা নিয়েই কথার কথা'। বইটি হয়তাে একটা নির্দিষ্ট সময়েরও প্রতিনিধিত্ব করবে, যে সময়টা অনেক অস্থির, অনেক টানাপড়েনের। ২০১৪ সালের অস্থির সময়ের এক ধরনের রােজনামচা মলাটবন্দী করছি আর ভাবছি ঠিক উল্টো একটা সময়ের ছবি। এমন একটা সময়, যে সময় এই সময়ের নিষ্ঠুর সত্যগুলাে কথার কথা হয়েই থাকবে।