মানুষের ক্ষুদ্র জীবনে যতকিছু মানুষ পায়, তার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর পাওয়া হলো ‘সম্পর্ক’। পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান স্থান হলো সম্পর্কের। পরিবার, প্রণয় অথবা বন্ধুত্ব, সব ক্ষেত্রে সম্পর্কের চেয়ে বড় কিছুই হতে পারে না। দিন শেষে পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখা কঠিন, প্রিয়জনকে নিজের করে নিতে পারা কঠিন, বন্ধুকে আমৃত্যু আঁকড়ে রাখাও কঠিন। এই প্রতিটা কঠিন খেলায় কেউ সফলতা পায়, কেউ পায় না। এই সম্পর্ককে কেন্দ্র করে উক্ত উপন্যাসে পরিবার থেকে প্রণয়, প্রতিটা সম্পর্ক তুলে ধরা হয়েছে। একটা পরিবারের প্রতিটা মানুষ ঠিক কেমন হয়, তাদের চলন বা কথার ধরন সব ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র উপমাগুলোও তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রণয়ের ক্ষেত্রে প্রেয়সীকে পাওয়া আর না পাওয়া প্রতিটা অংশ এখানে তুলে ধরা হয়েছে। পরিশেষে একটি সুন্দর পরিবার ও গুছানো পরিবারের পরিণতি কেমনটা হতে পারে এবং কতটা অনাকাঙ্কিতভাবে জীবনের মোড় ঘুরে ফিরে তার আপন গতিতে চলে এবং আমাদেরকে শিক্ষা দিয়ে যায়, সর্বোপরি সম্পর্কটাই আসল আর বাকি সবকিছু ক্ষণস্থায়ী। অপরদিকে প্রেয়সীকে পাওয়ার আনন্দ ও না পাওয়ার বেদনা সবটা এখানে প্রতিফলিত করা হয়েছে। আমাদের সবার সম্পর্ককে কতটা গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন তা আপনাকেই নির্ধারণ করে নিতে হবে। পরিশেষে জীবনটা আমাদের যার যার এবং জীবনও তার আপন ধারায় আমাদের শিক্ষা দিয়ে যাবে এটাই বাস্তবতা। মানুষের জীবনটা কতটা নাটকীয় হতে পারে তার বাস্তব প্রমাণ এই উপন্যাসটি আপনাকে দিতে সক্ষম হবে এই বিশ্বাস রাখলে আপনি কখনো নিরাশ হবেন না।
আমি নাজমুল হোসাইন নিদুল। একজন ছাত্র ও সমাজসেবী। সমাজ নিয়ে চিন্তা মস্তিককে দখলে রাখতো সেই শৈশব থেকেই। চলতি পথে প্রতিটা মানুষকে দেখে ভেবে ভেবে মনে মনে শত ছবি আঁকতাম, হয়ত তিনি জীবনে খুব অসুখী, বা হয়ত তার জীবনটা অর্থহীন, হয়ত এই মানুষটার জীবন বেশ ভালো কাটবে, বা হয়ত এই মানুষটা নতুন পরিবার সূত্রে আবদ্ধ হয়েছে। এভাবে ভাবতে ভাবতে নিজের অজান্তেই মনে শত শত কল্পচিত্র এঁকে সাজিয়ে নিতাম। সেই অভ্যাস থেকে নিজের মনের কথাগুলো সাজিয়ে এক এক করে পুঁতির মতো এক সুতোয় গেঁথে একটি মালার ন্যায় উপন্যাস বা কবিতা তৈরির ক্ষুদ্র চেষ্টা করি। সকলের দোয়া প্রত্যাশিত আমার প্রতিটি কলমের খোঁচা। আমার পরিবার ও সমাজ থেকে প্রতিনিয়ত আমার শিখে চলা। আব্বু আমাদেরকে যেভাবে ছোট থেকে আদর্শ দিয়ে বড় করেছেন, সে আদর্শ নিয়েই আমার পথ চলা। সকলের মাঝে একটা ভালো বার্তা পৌঁছে যাক। একটু রোগমুক্ত সমাজ হোক, একটা সুস্থ জাতি হোক। পরিশেষে আমরা সবাই মানুষ হই।)