হোমিওপ্যাথিতে কোনো বিজ্ঞান নেই, হোমিওপ্যাথি স্রেফ প্লাসিবো ইফেক্ট, হোমিওপ্যাথি মানুষের বিশ্বাসের উপর ভর করে কাজ করে, হোমিওপ্যাথির কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই – এই বিকট সব ধারণাগুলোই আমাদের সমাজে আজ বহুল-প্রচলিত। কিন্তু আদতে, এগুলো একেকটি দুর্দান্ত মিথ্যা, প্রকট মিথ্যা। অবশ্য এই মিথ্যাগুলো মানুষের মন-মগজে এত সুগভীরভাবে বসে যাওয়ার পেছনেও রয়েছে কিছু কারণ, কিছু সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা, হোমিওপ্যাথির বৈরীপক্ষের বহু ধৈর্য্য ও অধ্যবসায় নিয়ে কৃত ষড়যন্ত্র। কিন্তু সেটা আমি মুখের কথায় বললেই কী হবে! না, তা হবে না। উপরের কথাগুলোর ব্যাপারে আমার দাবির সত্যতা প্রতিপাদনের জন্য চাই যথাযথ তথ্য-উপাত্ত ও প্রমাণ। হোমিওপ্যাথি নিয়ে চলমান প্রতিটি মিথ ও মিথ্যা এবং এগুলো কীভাবে আমাদের মনে জায়গা করে নিয়েছে- তার সমস্ত কিছুর ক্ষেত্রে এই গ্রন্থ উপস্থাপন করতে যাচ্ছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। বহু-বৎসর, বহু-যুগ, এমনকি শতাব্দীর পর শতাব্দী যা চাপা পড়ে আছে পর্দার অন্তরালে। নিকষ কালো সেই চাদরের আবরণ সরিয়ে বের করে আনা হচ্ছে- হোমিওপ্যাথির কিছু সত্যকে, হোমিওপ্যাথির প্রকৃত রূপ, তার বৈজ্ঞানিক ভিত্তিটিকে। হোমিওপ্যাথিতে যদি সত্যতা থাকে এবং যদি মানুষের আরোগ্যকারী বিজ্ঞান-ভিত্তিক চিকিৎসা ব্যবস্থা হোমিওপ্যাথিই হয় (তা যে সত্য, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই) - সেখানে শোনা-কথার উপর ভিত্তি করে নিজেকে বা আপনার আশে-পাশের মানুষকে হোমিওপ্যাথি থেকে দূরে সরিয়ে রেখে: একদিকে আপনি নিজেরও ক্ষতি করছেন এবং আরোগ্যের যে সুযোগ আপনার হাতে ছিলো তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং অন্যদেরও বঞ্চিত করে চলেছেন। কাজেই, এখন সময় হয়েছে- মিথ্যার আবরণকে সরিয়ে, মন-মগজে থাকা মিথ্যার শেকড়কে উৎপাটন করে- সত্যকে জানার ও স্রষ্টা প্রদত্ত নিজের স্বাস্থ্যকে, আপনার পরিবার ও প্রিয়জনের স্বাস্থ্যকে এবং মানবতাকে রোগমুক্ত করার ও রোগমুক্ত রাখার!