সর্পদংশন বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের প্রাচীন গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে অন্যতম। সর্পদংশন কৃষি ও মৎস্যজীবী জনগোষ্ঠীর পেশাগত স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি একটি জরুরি কমিউনিটি স্বাস্থ্য সমস্যাও বটে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সর্পদংশন ঘটে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর দৈনন্দিন জীবন-যাপনের সময়। সাধারণত, এ অবস্থার জন্য কেউ প্রস্তুত না থাকলেও অহরহ তা ঘটছে এবং অনেক মানুষ মারাও যাচ্ছেন, দুর্ভাগ্যবশত। সাম্প্রতিক জরিপ বলছে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ সর্পদংশনের শিকার হন এবং প্রায় ৭ হাজার মানুষ মারা যান। বেঁচে যাওয়া অনেক রোগীর বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক অক্ষমতা হতে পারে। এদের বেশির ভাগই দরিদ্র যাঁদের মধ্যে শিক্ষার হারও কম। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য জ্ঞানের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। এখনও গ্রামীণ জনগোষ্ঠী সর্পদংশন প্রতিরোধে, প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে যথেষ্ট জানেন বলে মনে হয় না। সাপ, সর্পদংশন এবং চিকিৎসা নিয়ে সমাজে বিভিন্ন ধরনের ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। সাপ ভালো করে চোখে দেখে না, কানেও শোনে না, অথচ সাপ নিয়ে কত বিচিত্র গল্প যুগ যুগ ধরে চলে আসছে, এর বেশির ভাগই ভ্রান্ত। যেমন- ‘সাপ দুধ পান করে’, ‘সাপ বাজানো বীণের সাথে তালে তালে নাচে’ ইত্যাদি। এখনও মানুষ সর্পদংশনের পর প্রচলিত চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ‘ওঝা-বৈদ্যের’ কাছে ছুটে যান। অনেক সময় এ ধরনের চিকিৎসা রোগীর ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়; এ ধরনের ‘অপচিকিৎসা’ রোধে সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টি ও আইন প্রণয়ন প্রয়োজন।
জন্ম 28 অক্টোবর 1953, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ। শিক্ষা: চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম (উচ্চ মাধ্যমিক) 1972; এমবিবিএস, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশ 1978; BCPS (FCPS), 1982 থেকে ইন্টারনাল মেডিসিনে ফেলোশিপ; পিএইচডি, ইউনিভার্সিটি অফ নিউক্যাসল আপন টাইন, ইউকে, 1993; (ইউনিভার্সিটি অফ নিউক্যাসল আপন টাইন, ইউকে, 1990-1993 থেকে পিএইচডি করার জন্য গবেষণা করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফেলো)।