পৃথিবী তার কোটি বছরের পথ পাড়ি দিয়ে আজ যবনিকার পাঠ শেষ করছে। কত বসন্ত তার অতীত হয়ে গেছে সেও খবর রাখে নি। কত গ্রীষ্ম তাকে দহন করেছে তার বিদগ্ধ চামড়া হিসাব করেনি। কত বাদশা , কত সাম্রাজ্য মাটির গুহায় বিলীন হয়ে গেছে কেউ কি বলতে পারবে? শেষ সবকিছুর আছে , সবাইকে যেতে হবে, সব কানন উজাড় হবে,ফুলরাশি ঝরে যাবে এ অমোঘ সত্য। কিন্তু সকল সত্যকে হার মানিয়েছে আমাদের বুকের বাম পাশে থাকা এক টুকরো মাংস পিন্ড। কখনো সাগর জলের মতো উৎলে উঠেছে , কখনো মরুর ধুলোর মতো শুকিয়ে গেছে, কখনো বর্ষার প্লাবনে ভেসে গেছে। কখনোবা শীত কখনোবা গ্রীষ্ম কখনো খড়া কখনো শিশির ঝরা সবুজ মাঠ। কতো কাহিনী মাঠ ঘাট পেরিয়ে হৃদয় পাতায় আঁচড়ে পড়েছে, কতো কাহিনী দোলনায় দোলে দোলে ভেসে চলছে। জীবাত্মা আর প্রেমাত্মা এক হয়ে আছে সবখানে, কোথাও বিচ্ছেদ ঘটেছে দুয়ের। গ্রীস ধ্বংসে লুটে পড়েছে রাতারাতি, পিরামিট জেগে উঠেছে কেটে কেটে প্রহর। আমি ছোট দুটো ডানা মেলে যেটুকু দেখেছি কোথাও সবুজ কোথাও নীল কোথাও ফ্যাকাশে বর্ণিল কোথাও আবার ফেনিল। সব প্রতিবাদি কন্ঠ জ্বলে উঠে না ।আমি জ্বালাতে পারিনি জ্বলেছি অহর্নিশি । হিমালয়ের চুড়ায় উঠে সোচ্চার কন্ঠে বলতে পারব না। তাই শুধু দু-চার লাইন ছবি এঁকেছি কাগজে। পাঠক যেন বুঝে নেয় সমুদ্রের তীরে আমি একা এক প্রহরী। সাথি আমার হারিয়েছে অতল সাগরে। কখনো বলবে না তার মাঝের হাজারো সামুদ্রিক কীট লুকিয়ে আছে।তারা হয়তো ফিরে আসবে এক সময় আর নিয়ে যাবে আমাকে , তোমাকে আর --------।