ভূমিকা বেশকিছু দিন আগে, প্রথম আলোর সাপ্তাহিক আয়োজন ‘নকশা’র কোনো এক সংখ্যায় রান্নার রেসিপি ছিল না। সেদিন দেশের নানা জায়গা থেকে প্রথম আরোর পাঠকরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। তারপর রেসিপি ছাড়া ‘নকশা’র একটি সংখ্যাও বেরোয় নি। এবার বেরোচ্ছে ‘নকশা’র রেসিপির নির্বাচিত সংকলন নকশার রান্না।
শুধু বিশেষ দিনে বিশেষ রান্না নয় প্রতিদিনকার খাবার টেবিলে নতুনত্ব খোঁজেন অনেকে। তাই খাবার নিয়ে নিরীক্ষাও কম হয় না। সে নিরীক্ষা চলে সারা বছর। সে কারণেই আটপৌরে খাবারকেই নতুন ঢঙে পাঠকের কাছে নিয়ে এসেছে ‘নকশা’। ‘নকশা’র রন্ধনশিল্পীরা বছরজুড়েই খাবারে নতুন মাত্রা যোগ করতে চান এবং সেসব তুলে ধরেন পাঠকের কাছে ঈদ-উৎসব-পূজা-পার্বণে, নানা ঋতুতে বিশেষ খাবার, অঞ্চলবিশেষের উল্লেখযোগ্য খাবার আর সাধারণ ঐতিহ্যবাহী খাবারের ‘নকশা’ নিয়মিত প্রকাশ করে আসছে।
বাংলাদেশে চীনা, থাইসহ বিদেশী খাবারের রেস্তোরাঁ বাড়ছে, মানুষ নানাভাবে তাদের রসনার পরিতৃপ্তি খুঁজছেন। কিন্তু দেশী খাবারের যে স্বাদ তা কি ভোলা যায়। দেশীয় খাবারের প্রতি আমাদের আগ্রহ ও ভালবাসা পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে। অনেক লুপ্ত দেশী খাবার ফিরে আসছে। সেদিকে আমাদের দৃষ্টি আছে, থাকবে।
‘নকশা’য় নিয়মিত যাঁরা দেন তাঁদের বাইরে অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত কোনো কোনো ব্যক্তিও আমাদের আগ্রহে সাড়া দিয়ে নানা ধরনের রেসিপি দিয়েছেন। এই রেসিপিগুলোর একটি নির্বাচিত সংকলন ‘নকশা রান্না’।
রাঁধুনিরা তো বটেই, নতুন করে যাঁরা রাঁধতে চান, তাঁরাও অনেকে ‘নকশা’ পড়েন, সংগ্রহ করেন; অনেকে ‘নকশা’র পাতাও কেটে রাখেন। এবার তাঁরা তাঁদের অনেক প্রিয় রেসিপি দুই মলাটের মধ্যে পাবেন।
যাঁরা আমাদের রেসিপি দিয়েছেন, প্রথম আলোর যেসব আলোকচিত্রী ছবি তুলেছেন তাঁদের ধন্যবাদ। ধন্যবাদ অবসর প্রকাশনা সংস্থার স্বত্বাধিকারী আলমগীর রহমানকে, রান্না আর রান্নার বইয়ের ব্যাপারে তাঁর অপরিসীম আগ্রহের জন্য।