পূর্বকথা বিষয়বৈচিত্র্য সমকালীন চিন্তাধারায় মেয়েদের জীবন শুরু, লেখাপড়া কলেজ, কর্মযুদ্ধ আলোর পথে পা ফেলে পথ চলা, গন্তব্য সে তো বহুদূর, ক্রমধারায় জীবনে আমি আশায় আশায় সুখপাখির পাখায় ভর করে উড়ি আর স্বর্ণজলে লিখে যাই হাজারও অনুভব, ভবিষ্যৎ রচনায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা আর ব্যাকুল প্রত্যাশায় মেয়েদের নিয়ে সমুদ্রসীমানা অতিক্রম করার সুকৌশল অবতরণিকায়। প্রথমত নিজের সংকোচনের বিহŸলতায় লেখার অক্ষমতায় লজ্জিত আমি সবকিছু উপেক্ষা করে লিখি আর সন্তানদের পাশে পাশে থেকে সাদরে সম্ভাষণ জানাই ভালোমন্দ যাই আসুক, এই চলমান জীবনে, লেখার কাঁথায় বুনন দিই অবসরে। একদিন শেষবেলায় কাঁথার ভাঁজ খুলে খুলে দেখবো, কত রঙের সুতায় বুনা আমার লেখার কাঁথা। জীবন কবিতার মতো ছন্দে ছন্দে ভরপুর ভাব ভাষা মাধুর্য দিয়ে একটি কবিতার বই লেখার চেষ্টা করেছি মনের উৎকৃষ্ট শব্দমালায় সুশৃঙ্খল বিন্যাসে ‘কালস্রোত’ কবিতার বইটি নব প্রজন্মের জন্য গ্রন্থভুক্ত করতে পেরে আমি আনন্দিত। মেয়েদের প্রীতিমধুর সান্নিধ্যে থেকে থেকে দেখি আমার গোধূলিবেলায় কবিতার দিগন্তরেখায় স্মৃতির পরশে ¯পষ্ট হয়ে আছে কালস্রোত। অতীতের স্বপ্ন যা দেখেছিলাম আজ স্বপ্ন পূরণের আনন্দে উজ্জীবিত আমি, আল্লাহকে জানাই হাজারও শুকরিয়া। নিউইয়র্কের বহুল পরিচিত সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ঠিকানা’। এই ঠিকানা পত্রিকা লেখা ছাপিয়ে আমাকে দিয়েছে প্রেরণা। প্রবাসজীবনে সাহিত্যচর্চা করার বিশাল সুযোগ এ বড়ো প্রাপ্তি আমার। ধন্যবাদ জানাই ঠিকানা পত্রিকাকে।