সৃষ্টির মূল রহস্য স্রষ্টার গোপন ভেদ জানার ইচ্ছা সকল মানুষের থাকে। তাই জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ যার যার সাধ্য অনুযায়ী যার যার ধর্ম মতে রহস্যভেদে মেতে উঠে। কিন্তু অকৃত্তিম সত্য যে মহান স্রষ্টা মানুষকে তার জ্ঞানের শুধু মাত্র তিন শতাংশ কাজে লাগানোর সুযোগ দিয়েছেন। বাকী সাতানব্বই শতাংশ নিজের হাতে রেখে দিয়েছেন। আর মারেফাত হলো স্রষ্টার নিবিড়ে প্রবেশ করে তাকে জানা আর ভালবাসায় সিক্ত হয়ে ইহকাল ও পরকালের পাথেয় সঞ্চয় করা। অনেক প্রেম পাগল মানব পরাগী মাওলার প্রেমে বিলীন হয়ে ঘর সংসার ত্যাগ করেছে, অনেকে আবার সংসারের সুধা নিয়েও মাওলাকে রাজি করেছে। রুমীর প্রেমবাদ্যের ঝংকারে তুরস্কের পাহাড়ের গুহায় নাচন ধরেছিল, সুরেলা পাখিরা মদিনার গাছে গাছে সুরের ঝংকার তুলেছিল। কিন্তু যুগের পরিবর্তনে আধুনিকতার উচ্ছল ধারায় জীবন জীবিকার বিলাস বহুল চাওয়ায় গা ভাসিয়ে দিয়ে এক ইলাহ্ এর প্রেম থেকে দূরে সরে গেছে। শরীয়তকে করেছে খেলনার পণ্য। আমি অধম তৃষ্ণার্ত চাতকের ন্যায় ভবপিয়াসীর দুয়ারে দুয়ারে ঘুরি আর মাওলার প্রেমের ঘরের প্রহরী হয়ে যাচনা করি যেন মরণের আগে মধূপিয়ালার মধু শরাব পান করে এ ভব থেকে বিদায় নিতে পারি। তাই আমার এ ক্ষুদ্র পুস্তক খানি প্রকাশ করে পাঠকের মাঝে আমার অতৃপ্ত চাহিদা তুলে ধরলাম।