আজকের দুনিয়ায় মডার্ন টেকনোলোজির স্বর্ণযুগ চলছে। ইন্টারনেট বিপ্লবের পর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI), মেটাভার্স, ডিপফেক, হলোগ্রাম ইত্যাদির মাধ্যমে প্রযুক্তিকে এক নতুন দিগন্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়াও মানুষ প্রতিনিয়ত নতুন নতুন টেকনোলোজির আবিষ্কার করে যাচ্ছে। প্রযুক্তির এই উত্থান মানবজাতির উপর গভীর প্রভাব ফেলছে। মানবজাতির সামাজিক, আর্থিক, রাজনৈতিক, চিকিৎসা ও ধর্মীয় দিক সহ প্রতিটি দিককে গভীরভাবে প্রভাবিত করছে এবং প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে। প্রযুক্তির উত্থান একদিকে যেমন মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করে দিয়েছে এবং পুরো পৃথিবীকে গ্লোবাল ভিলেজে রূপান্তরিত করেছে। অপরদিকে এই প্রযুক্তির উত্থানের ফলেই ঘরে ঘরে বৃষ্টির মতো ফিতনা বর্ষিত হয়েছে। মডার্ন টেকনোলোজির উত্থানের ফলেই আপনার প্রতিটি নড়াচড়া মনিটরিং হচ্ছে। প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো আপনার প্রতিটি ইনফরমেশন সংরক্ষণ করছে। মানবজাতির মুখ বন্ধ করতে সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছে ক্ষমতাধর শক্তিগুলো। ডেমোক্রেসি, সেকুলারিজম, কমিউনিজম, সোশ্যালিজম, লিবারেলিজম, পর্ণগ্রাফি, অবাধ যৌনাচার, সমকামিতা, ট্রান্সজেন্ডারিজম, শয়তানের পূজাসহ বিভিন্ন শয়তানি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দাজ্জালিশক্তিগুলো মানবজাতিকে আমূল দানবে পরিণত করার অস্ত্র হিসেবে এই মডার্ন টেকনোলোজি বা আধুনিক প্রযুক্তি। মডার্ন টেকনোলোজির উত্থানে মানবজাতি উন্নতি-প্রগতির বদলে ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়ে গেছে……… যদিও বিশ্বের তাবত জ্ঞানী-বুদ্ধিজীবী ও প্রযুক্তিবিদরা প্রযুক্তির লাগামহীন উত্থানের লাগাম টেনে ধরার ব্যাপারে ভাবছে। বিভিন্ন প্রস্তাবনা পেশ করছে। বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপের পরামর্শ দিচ্ছে। কিন্তু এগুলো বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। মূলত এই সকল প্রস্তাবনা পেশ, পরামর্শ প্রদান ও বিধিনিষেধ আরোপের পিছনে দাজ্জালি শক্তিগুলোই সক্রিয় রয়েছে। মূলত মডার্ন টেকনোলোজির এই ভয়াবহ হুমকি মোকাবেলায় প্রয়োজন ইসলামের ইনসাফপূর্ণ নীতিমালা গঠন ও এর যথাযথ প্রয়োগ। যত দেরি হবে, মডার্ন টেকনোলোজি মানবজাতিকে ততই ধ্বংসের অতল গহ্বরের দিকে টেনে যাবে।