ভূমিকা ১৯৮৭ সালের জুলাই মাসে ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রথম প্রকাশিত মসদিরে ইতিহাস ধর্মপ্রাণ বাঙ্গালী মুসলমান তথা অগণিত শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে সমাদৃত হলে লেখক, যিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের School of Oriental and Afican Studies থেকে মসজিদ বিষয়ক সন্দর্ভ রচনা করে ১৯৬৫ সনে Ph. D. ডিগ্রী লাভ করেন, এটি পুনঃ পুনঃ মুদ্রণ করেন। বর্তমানে গ্রন্থটির চতুর্থ পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত সংস্করণ। এই গ্রন্থের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই যে এটির কলেবর যথেষ্ট বৃদ্ধির করা হয়েছে পূর্বের তুলনায়। শুধু তাই নয় আলোচিত্র সংযোজন করে এটিকে হৃদয়গ্রাহী করার চেষ্টা করা হয়েছে।ইসলামের একটি অমোষ বাণী “আকিমুসসালাত ওয়াতুস যাকাত” অর্থাৎ নামায বা সালাত আদায় কর এবং সেই সাথে তোমার প্রদত্ত যাকাত প্রদান কর।মসজিদ এ কারণে মুসলিম সমাজের একটি অপরিহার্য অঙ্গ এবং মুসলিম স্থপতি ও কারিগর কারুশিল্পী, নকশাবিদ বিমূর্ত রীতিতে মসজিদের অলঙ্করণে তাদের ধর্মীয় অনুভূতি ও শৈল্পিক চাতুর্য প্রদর্শনে কুণ্ঠিত হয়ননি।৬২২ সনে মদিনায় প্রথম মসজিদ স্থাপনের পর মুসলিম বিশ্ব ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন মুসলিম জনগোষ্ঠী মসজিদ নির্মাণ করেছেন। বর্তমানে সংকলটি লেখকের পরিবর্ধিত প্রকাশনার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।গ্রন্থটি লেখক তার শিক্ষাগুরু প্রয়াত অধ্যাপক ড. এ. বি. এম. হাবিবুল্লাহকে উৎসর্গ করেছেন।ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির স্নাতক, সম্মান ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীর উপযোগী এই গ্রন্থটি খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।পূর্বের মত সাধারণ পাঠক ও ধর্মীয় ভাবধারায় পুষ্ট ওলামা-মাসায়েকদের কাছে সমানভাবে এটি সমাদৃত হবে বলে প্রন্থকার আশা করেন। এস. এম. হাসান