ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা বাঙালি ও বাংলাদেশের সমস্যা নিয়ে আজীবন লড়াকু এই পথিক লেখনীতেও দারুণ স্বাক্ষর রেখেছেন ব্যক্তিপর্যায় থেকে শুরু করে সমাজ ও রাষ্ট্রীয়-এমন কোনো বিষয় নেই তাঁর মনোযোগ এড়ায়নি। ফলে লেখাগুলো মানকল্যাণকর এবং কুসংস্কাররোধী। যুদ্ধকে তিনি তুলনা করেন মানুষের মুর্খতার সঙ্গে। পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতার সমস্যারোধে কী করা যায়, তুলে ধরেন এমন মূলমন্ত্র। সাহিত্যের সঙ্গে এর যে নিবিড় যোগ, তাও জ্ঞানীচোখে তুলে ধরেছেন বিভিন্ন প্রবন্ধ। আমাদের রাষ্ট্রচিন্তার ক্রমবিকাশ কিংবা দর্শনের ইমানুয়েল কান্ট.... কিছুই বাদ পড়েনি তাঁর ভাবনা থেকে। ফলে তার লেখনী থেকে উঠে আসে পুরোজীবনের এক নীতিচিত্র। যেখানে মানুষ, রাষ্ট্র ও জ্ঞানতন্ত্র সবই সন্নিবেশিত, সবই একটি সূত্রে এসে চিত্রিত নদীর মতো সমাজের রূপ পায়। সুচিপত্র * বাঙালির সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার *ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র *আমাদের জীবনে একুশের তাৎপর্য *বিশ শতকের বাংলাদেশ : রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও রাষ্ট্রচিন্তার ক্রমবিকাশ *মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের সাহিত্য *বার্ট্রান্ড রাসেল : ব্যক্তি ও দার্শনিক *জ্যাঁ-পল সাত্র্রের জীবন ও অস্তিত্ববাদ *ইমানুয়েল কান্ট *যুদ্ধ ও মানুষের মূর্খতা *গণতন্ত্র ও জ্ঞানতন্ত্র *ধর্ম ও সংস্কৃতি *পীরপূজা ও বীরপূজা *সাহিত্যনীতি *বাংলাদেশের গ্রামীণ জ্ঞানী, তাঁদের মৌখিক প্রবন্ধ। * সত্যভীতি ও মিথ্যাপ্রীতি * হিন্দু-মুসলমান সাম্প্রদায়িকতার সমস্যা * খায়রন্নেসা খানুত : পথিকৃৎ নারীবাদী *বিশ্বের বড় ফুল ও রক্তের বি গ্রুপ *মোটা কোমর বনাম মোটা মাথা *অবকাঠামো উন্নয়ন বনাম গণতন্ত্র
জন্ম ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর এলাচিপুর, মানিকগঞ্জ। শিক্ষা : মাধ্যমিক : ঝিটকা উচ্চ বিদ্যালয়, মানিকগঞ্জ (১৯৬৩); উচ্চ মাধ্যমিক : ঢাকা কলেজ (১৯৬৫); স্নাতক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৬৯); ডিপ্লোমা (সাংবাদিকতা) : পশ্চিম জার্মানি (১৯৭৯); জার্মান ভাষায় প্রশিক্ষণ : বার্লিন (১৯৮৫)। পেশা : সাংবাদিকতা। বার্তা সম্পাদক (অবসরপ্রাপ্ত) বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা।