বঙ্গবন্ধু সম্মাননাপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র পরিচালক, গণহত্যার গবেষক অধ্যক্ষ খান আখতার হোসেন খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার শাহপুরে ১৫ সেপ্টেম্বর '৫৭ জন্মগ্রহণ করেন। পিতা- মরহুম মহিউদ্দীন আহম্মদ ও মাতা- বেগম রাবেয়া খাতুন। শাহপুর মধুগ্রাম কলেজে পড়াকালীন সময়ে (১৯৭৫) বাংলাদেশ অবজারভারে তাঁর আঁকা ছবি ও দৈনিক প্রবাসীতে (১৯৭৬) তাঁর লেখা ছোট গল্প প্রথম প্রকাশ পায়। সাংবাদিকতা করেছেন দেড়যুগ। ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ডাকসু নির্বাচন'৮২-তে শহীদুল্লাহ হলের সাহিত্য সম্পাদক পদে অংশগ্রহণ করেন। তাঁর লেখা প্রকাশিত গ্রন্থ- ফটোগ্রাফি শিক্ষা (কারিগরি শিক্ষা, ১৯৮৩), যাদু ও ম্যাজিক (১৯৯০ সম্পাদিত), শিল্প-সম্পর্ক (১৯৯৬), তবুও মনে পড়ে (উপন্যাস, ২০০০, সংশোধিত ২০১৪), দক্ষিণবাংলার লেখক পরিচিতি (২০০৫), উত্তরবাংলার লেখক পরিচিতি (২০০৭), রক্তে ভেজা লুঙ্গি (মুক্তিযুদ্ধের গল্প, ২০১৩), ভদ্রার গহীনে প্রাণের আওয়াজ (মুক্তিযুদ্ধের গল্প, ২০১৩), শেষ যাত্রায় নিহার রতন (মুক্তিযুদ্ধের গল্প, ২০১৩) ফড়িং মেয়ে (উপন্যাস, ২০১৩), আবেগী ঝড় (উপন্যাস, ২০১৪), টান (উপন্যাস, ২০১৪), লষ্ট ইন দ্য হিমালয়েজ (অনুবাদগ্রন্থ, ২০১৫), চুকনগরের লাশ (চিত্রনাট্য, ২০০২, সংশোধিত ২০১৫) কালো মুরগির লাল ছা (শিশুতোষ, ২০১৪) সিংহী বগীর ছা (শিশুতোষ, ২০১৪), পোড়ামন ওড়াও নিঃশ্বাস (গীতি কবিতা, ২০১৫), তুমি রবে নীরবে (কবিতা, ২০১৫), স্বপ্নেরা জেগে ওঠে (কবিতা, ২০১৫), জাগো জাতি জাগো দেশ (কবিতা, ২০১৫), কুয়াশা ভেঙ্গে সূর্য হাসে (কবিতা, ২০১৫)। তাঁর পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র 'দুরন্ত' মুক্তি পায় ১৯৮৯। তাঁর অভিনীত ৬টি প্যাকেজ নাটক, ১টি টেলিফিল্ম মুক্তি পেয়েছে ও ৩৮টি বেতার নাটক-জীবন্তিকা প্রচারিত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকার ও নাট্যশিল্পী। তিনি গাঙচিল সাহিত্য- সংস্কৃতি পরিষদ, ইউনিভার্সিটি ফিল্ম সোসাইটি, দক্ষিণবাংলা লেখক ফোরাম ও উত্তরবাংলা লেখক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা। সৃজনশীল কর্মে অর্জন করেছেন আন্তর্জাতিক সম্মাননা, স্বর্ণপদকসহ ৩০টি। মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র নির্মাণ ও গবেষণামূলক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য তাঁকে বিশ্ববাঙালি মহাসম্মেলনে বঙ্গবন্ধু সম্মাননা '১২ প্রদান করা হয়। তিনি শ্রম পরিদপ্তরের যুগ্ম শ্রম পরিচালক।