পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে নিছক কৌতূহল বশেই চিঠি লেখেন হেলেন হ্যানফ। দুর্লভ বই খুঁজে বের করে সংগ্রহ করাই তার একমাত্র নেশা। চিঠি পাড়ি দেয় উত্তর আটলান্টিক। গন্তব্য ইংল্যান্ডের চ্যারিং ক্রস রোডের এক বইয়ের দোকান মার্কস এন্ড কোং—পুরাতন বই নিয়ে যাদের কারবার। মার্কস এন্ড কোং-এর পক্ষ থেকে চিঠির জবাব দেন ফ্র্যাংক ডোয়েল। দুজনের কেউই জানতেন না, একটা সময় এই চিঠিই তাদের অমর করে রাখবে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে। এরপর একটানা দুই দশক চলেছে এই চিঠির আদান-প্রদান। দুটি মানুষ কখনো মুখোমুখি না হয়েও কতটা নিবিড় বন্ধুত্ব তাদের মাঝে গড়ে তুলতে পারে—এই বই তার সাক্ষী। দুই পক্ষের সকল চিঠি একত্রিত করেই ১৯৭০ সালে বই হিসেবে তা মলাটবদ্ধ করেন বইয়েরই মূল চরিত্র হেলেন হ্যানফ। কল্পিত গল্প-উপন্যাস নয়, নিরেট বাস্তব এই চিঠিগুলো আপনাকে নিয়ে যাবে গত শতাব্দীর চল্লিশ ও পঞ্চাশের দশকে। আপনার সামনে তুলে ধরবে মহাসাগরের দুই প্রান্তের দুজন মানুষের মনের ছবি, তাদের চিন্তা, আবেগ, দর্শন ও সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি। বিশ্বের একাধিক প্রধান ভাষায় অনূদিত এই বইটি বন্ধুত্ব নিয়ে আরও একবার ভাবাবে। কেউ কেউ মনে করেন, শুধু ভাবিয়েই ক্ষান্ত হবে না, এই বই আপনার হৃদয় আঁকড়ে থাকবে। যান্ত্রিকতা ও স্বার্থপরতার এই বর্তমান থেকে চলুন অন্তত কিছুটা সময়ের জন্য সেই সোনালি অতীতের জানালায় উঁকি দিয়ে আসি...