"আত্মচরিতে চট্টগ্রামের ইতিহাস" ইতিহাস মিউজিয়ামে রাখা মোমের পুতুলের ন্যায় স্থির নয়। বরং, স্রোতস্বিনী নদীর জলরাশির মতো প্রবহমান। নদীর ঢেউয়ে যেমন পুরানো ডাঙ্গা ভেঙে নতুন ডাঙ্গার জন্ম হয়। তেমনি কালের স্রোত পুরানো সভ্যতা বিনাশ করে নতুন সভ্যতার বিকাশ ঘটায়। শতাব্দী জুড়ে কালের স্রোতে ঢেউয়ে ঢেউয়ে সভ্যতার ভাঙা-গড়ার ঘটনা হলো ইতিহাস। কালের গতি বৈচিত্র্যময়। পাহাড়ী ঢল কিংবা বন্যা প্রবাহ যেভাবে নদীর গতিপথ পাল্টে দেয়। যুদ্ধ, মহামারী ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ তেমনিভাবে মানবসভ্যতার ইতিহাস বদলে দেয়। নদীর জোয়ার ভাটার মতোই নানা ঘাত-প্রতিঘাতে ইতিহাস এগিয়ে যায়। আত্মচরিতে চট্টগ্রামের ইতিহাস বইটি যেন কোনো প্রমোদ নদীর নান্দনিক বর্ণনা। নদীর নানামুখী উৎসের মতো স্মৃতি, কথোপকথন ও গবেষণা হতে বহু ঐতিহাসিক ঘটনা ওঠে আসে বইটিতে। পরিবার, সমাজ ও চট্টগ্রামের টুকরো-টুকরো এসব ইতিহাস শেষাবধি একটি কোলাজে পরিণত হয়। বর্তমানে যা ঘটছে এবং ভবিষ্যতে যা ঘটবে; তা অনেকাংশে অতীত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই বিশ্বাস অতীতের কাব্যিক আবেদন সঞ্চারিত করে। পূর্বে কি ঘটেছিল তা জানার তীব্র এক আগ্রহ জাগিয়ে তুলে। আত্মচরিতে চট্টগ্রামের ইতিহাস বইটি ইতিহাস সম্পর্কে আবেগ উদ্দীপনা তৈরির পাশাপাশি অতীত সম্পর্কে পাঠককে কৌতূহলী করবে এবং চট্টগ্রামের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।