বিশ রাকাত তারাবীহ সুন্নাত ও ইজমায়ে উম্মাত এবং তাওয়ারুছ তথা উম্মাতের সর্বকালীন আমল দ্বারা প্রমাণিত। ১২৮৪ হিজরীর পূর্ব পর্যন্ত প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য পৃথিবীর কোথাও ৮ রাকাত তারাবীহ পড়ার কোনো নজীর নেই। গোটা পৃথিবীতে এর প্রথম প্রবক্তা হলেন মুহাম্মাদ হুসাইন বাটালভী আলআশয়ারী। যিনি গয়রে মুকাল্লিদগণের প্রাণপুরুষ শাইখুল কুল ফিল কুল মৌলভী নজীর হুসাইন সাহেবের ছাত্র ও শিষ্য। বক্ষ্যমাণ রিসালা বা পুস্তিকার যিনি লেখক তিনিও মৌলভী নজীর হুসাইন সাহেবের ছাত্র এবং বাটালভী সাহেবের সহপাঠী। তিনি "রিসালায়ে তারাবীহ" নামক পুস্তিকাটি ফার্সী ভাষায় লিখেছেন। লেখক মৌলভী গোলাম রসূল সাহেব বিশ রাকাত তারাবীহের পক্ষে দলিল ও প্রমাণ পেশ করেছেন এবং এটা বিদ'আত নয়, বরং সুন্নাত তা প্রমাণ করেছেন। আর বাটালভী সাহেবের অভিযোগ ও আপত্তির শালীন ও মার্জিত ভাষায় উত্তর দিয়েছেন। ফার্সী এ পুস্তিকাটির উর্দুতে অনুবাদ করেছেন মুনাযিরে আযম ও বিশ্বনন্দিত হাদিস বিশারদ হযরত মাওলানা আবুজ জাহেদ মুহাম্মাদ সরফরাজ খাঁন সফদর সাহেব। এর দ্বারা এ রিসালার গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য অনায়েসেই অনুমিত হয়। আমি অধম এ রিসালার বাংলা অনুবাদের ব্যর্থ চেষ্টা করি। অনুবাদ যথার্থ, সহজ ও বোধগম্য করতে চেষ্টায় কসুর করিনি। তারপরও কারো নজরে ভুল-ভ্রান্তি পরিলক্ষিত হলে অবহিত করবেন। ইনশাআল্লাহ, পরবর্তী সংস্করণে সংশোধনের আপ্রাণ চেষ্টা করব। মূল রিসালাটি দিয়ে সহায়তা করেছেন মাওলানা মুফতী আব্দুল্লাহ শহীদনগরী। আমি তার কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ। পাশাপাশি শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি সুহূদ ছাত্র মাওলানা ইসমাঈল বিন আবু সাঈদ-এর, যে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে। পরিশেষে আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ করছি, যেন তিনি পুস্তিকাটি কবুল করে একে আমার নাজাতের উসিলা বানান এবং এর দ্বারা সকলকে উপকৃত হওয়ার তাওফীক দান করেন। আমীন, ছুম্মা আমীন।