ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা সমাজে বিদ্যমান বহুমাত্রিক অসমতা, এর উৎপত্তি সংক্রান্ত ধর্মীয় ধারণা ও সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্বসমূহ পর্যালোচনা করা হয়েছে ‘সামাজিক অসমতা’ গ্রন্থে।বাংলাদেশর মতো একটি গ্রাম ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা অধ্যয়নের জন্য পশ্চিমা সমাজতত্ত্ববিদদের তত্ত্বসমূহের গ্রহণযোগ্যতা; এর ব্যবহার সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়েছে।আমাদের মতো ‘বর্ণ-শ্রেণি’ ভিত্তিক সমাজ অধ্যয়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন চলকের মধ্যে ‘পেশাগত মর্যাদা’কে প্রধান অভিজ্ঞতামূলক নির্দেশক হিসেবে গ্রহণ করা যায় কিনা, তাও বিচার-বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সামাজিক অসমতার একটি প্রধান ধরন হলো বর্ণ-ব্যবস্থা। যা অনেকের মতে শুধু হিন্দু-সমাজে বিদ্যমান।এ প্রত্যয়টি নিয়ে সমাজত্ত্ববিদ ও নৃতত্ত্ববিদদের মধ্যেও মতপার্থক্য রয়েছে। এ গ্রন্থে বর্ণ-ব্যবস্থাকে কাঠামোগত দিক থেকে সংজ্ঞায়িত করে এটিকে একটি নতুন মাত্রা যোগ করা হয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্যমান অসমতা নিয়ে মূখ্য-উৎপাত্ত ভিত্তিক পর্যালোচনা রয়েছে এ গ্রন্থে। সামাজিক অসমতা নিয়ে লিখিত গ্রন্থসমূহের মধ্যে বর্তমান গ্রন্থটি তত্ত্ব-উপাত্তের ভিত্তিতে রচিত হয়েছে। যা শিক্ষার্থীদের, বিশেষ করে এ বিষয়ে গবেষকদের জ্ঞান সমৃদ্ধ করবে। সূচিপত্র *সামাজিক অসমতা ও সমাজকাঠামো *সামাজিক অসমতার নির্ধারক ও ধরন *সামাজিক অসমতা : ধর্মীয় চিন্তা ও সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্ব *সামাজিক অসমতা ও পারস্পরিক ক্রিয়ার ধরন *পরিবর্তনশীল গ্রামীণ সামাজিক স্তরবিন্যাস ও অসমতা *সমাজিক গতিশীলতা