ভুমিকা মহান আল্লাহ তা'আলার বেহদ শুকরিয়া, যিনি আমাদেরকে তাঁর অমীয় বানী-আল কুরআন দান করেছেন। আরো শোকরিয়া জ্ঞাপন করছি আমাদের কাছে তাঁর প্রিয়তম হাবীবকে প্রেরণ করায়। তিনি না আসলে আমরা, আমাদের আকাবিরগণ এ কুরআন বুঝতে সক্ষম হতো না। তিনি প্রেরণ করেছেন এমন এক সুমহান বার্তাবাহক যার কথাবার্তা, চাল-চলন, উঠাবসা, খাওয়া-দাওয়া, মানব সেবা, মানবের সহায়তা, তাঁর হাসি-কান্না সবই ছিল পবিত্র আল কুরআনের ব্যাখ্যা। যার সমুদয় বিষয় আয়ত্ব করেছেন হযরত সাহাবায়ে কেরাম। তাঁর হাদীসকে সযত্নে সংরক্ষণ করেছেন তাঁরা। আর এ সকল হাদীস পরবর্তীদের কাছে পৌছে দিয়েছেন সতর্কতার সাথে। কেউ তো লিখিত আকারে কেউ বা মৌখিকভাবে। সাহাবাগণ চলে গেলেন, আর এ আমানত রেখে গেলেন তাবেয়ীগণের কাছে। তাবেয়ীগণ এ আমানতের যথার্থ হেফাজত করার চেষ্টা করেছেন এবং পরবর্তীদের মাঝে এর প্রচার-প্রসার করেছেন। এ ক্ষেত্রে পবিত্র হাদীসের মাঝে কুচক্রিদের রচিত বানোয়াট কথা আল্লাহর রাসূলের নামে চালিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁরা পূর্ণ সজাগ ছিলেন। কুচক্রিদের ভয়ানক থাবা থেকে পবিত্র হাদীসকে নিরাপদ রাখতে তারা কঠোর সাধনা করেছেন। মুখস্ত করেছেন, লিখে রেখেছেন এবং নিজ নিজ হাদীসের দরসে ছাত্রদের দিয়ে লিখিয়েছেন। এভাবে তৈরী হয়েছে কিতাবুল আছার, তৈরী হয়েছে মুয়াত্তা ইমাম মালেক, তৈরী হয়েছে মুয়াত্তা ইমাম মুহাম্মাদ, বুখারী, মুসলিম ও আরো বহু হাদীসের কিতাব। এই মেহনতের আরেকটি অন্যতম কিতাব সুনানে নাসায়ী। সুনানে নাসায়ী হাদীসের কিতাবের অন্যতম একটি কিতাব। ফলে আকাবেরে উম্মত এ কিতাবকে নেসাবের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। কিন্তু প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও এর কোনো ব্যাখ্যাগ্রন্থ না পেয়ে 'আশ্ররাফিয়া বুক হাউজ' এর তত্তাবধায়ক জনাব নজরুল সাহেব এ বিষয়ে আমাকে অনুপ্রণিত করলেন। তার অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে কিতাবের কাজ শুরু করি।