তাফসীরুল কুর’আন বি কালামির রাহমানের বৈশিষ্ট্য: “আল্লামাহ আবুল ওয়াফা সানাউল্লাহ অমৃতসরী (রাহিঃ) তাঁর এই তাফসীরটি রচনার ক্ষেত্রে কি কি রীতি ও পন্থা অবলম্বন করেছেন, তিনি তার পৃথক কোন সুস্পষ্ট বিবরণ দেননি। তবে কিতাবের শুরুতে ভূমিকায় তিনি যে আলোচনা করেছেন সেই আলোচনা থেকে এবং কিতাবটি অধ্যায়নে আমরা এই মূল্যবান রচনায় তাঁর যে রীতি এবং কিতাবের যে বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছি, তা নিম্নে আলোকপাত করা হলো : 📝 আল কুর’আনের আয়াত দ্বারাই আল কুর’আনের আয়াতের তাফসীর করা। 📝 তাফসীর বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য ‘আরবী ভাষাকেই মানদণ্ড হিসেবে গ্রহণ । 📝 বিবেক বুদ্ধির মানদণ্ডে কুর আনের তাফসীর করা একটি মন্দ কাজ হিসেবে দেখা এবং তা পরিহার করা। 📝আল কুর’আনের বাহ্যিক বক্তব্য দ্বারা সমর্থিত না হলে তিনি আয়াতের শানে নুযূল বা অবতরণের কারণের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করেননি। এর দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য হলো, আয়াতের ব্যাপক বা সার্বজনীন অর্থই ধর্তব্য। বিশেষ কারণ বা ঘটনা ধর্তব্য নয়। 📝 তাঁর রীতি থেকে এ কথা সুস্পষ্ট হয়ে আসে যে, তিনি এক বা একাধিক আয়াতের তাফসীরের জন্য অন্য আয়াতের খণ্ডিত অংশ উল্লেখ করেন। আবার কোন সময় এর বিপরীতে আয়াতের খণ্ডিত অংশের ব্যাখ্যার জন্য এক বা একাধিক আয়াত উল্লেখ করেন। তবে কোন সময় উভয় আয়াতের 📝 সম্পর্ক সরাসরি পাওয়া যায়। আবার অনেক সময় তা বুঝার জন্য দীর্ঘ চিন্তার প্রয়োজন হয়। দুই আয়াতের মাঝে সাধারণ থেকে সাধারণ বা অতি সুক্ষ্ম সম্পর্ক পেলেই তিনি এক আয়াতের তাফসীরে আরেক আয়াত পেশ করেছেন। তাই তা বুঝতে অনেক সময় বেগ পেতে হয়। কিতাবটি অধ্যায়নে আমরা তাঁর রীতি থেকে আরো যে বিষয়গুলো উদ্ঘাটন করতে পারি তা নিম্নরূপ : 📝 আল্লামাহ সানাউল্লাহ অমৃতসরী -এর তাফসীরকে কুর’আনী বিবরণের সাথে মিলানোর চেষ্টা করা। 📝 হাদীসে নাবাবী বা ‘আরবী কাব্য দিয়ে প্রমাণ কম করা। খুবই কম স্থানে হাদীস বা আরবী কাব্য দিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। 📝 কিছু কিছু শানে নুযূল বা আয়াত অবতরণের কারণ বর্ণনার ক্ষেত্রে হাশিয়ার ব্যবহার করেছেন। আবার কোন কোন জায়গার টীকা সংযোজনের ক্ষেত্রে অথবা ভ্রান্তদের বক্তব্য খণ্ডন। করতেও হাশিয়ার ব্যবহার করেছেন। 📝 ফিকহী বিধান বর্ণনার সম্মুখীন না হওয়া। 📝 সূরাহ্ বা আয়াতের পারস্পরিক সম্পর্ক বর্ণনার পিছনে না পড়া। 📝 মতভেদ রয়েছে এমন বিষয়ে কেবল অগ্রগণ্য মতটি উল্লেখ করা।