বাংলাদেশে এই প্রথম আমরা নিয়ে এসেছি, দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, ও বার্ষিক তথ্য সম্বলিত নাযেরা শিক্ষার্থীদের তথ্য বই। নাযেরা শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন কী পড়ছে, কেনো পড়ছে, কী শিখছে? উস্তাদগণই বা কী পড়াচ্ছেন, কী শেখাচ্ছেন, কতটুকু সঠিক ও বাস্তবসম্মত এবং তা যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে কী-না? সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা আছে কী-না, থাকলে তা যথাযথ কী-না, নীতিমালা অনুসরণ হচ্ছে কী-না, অযথা সময়ক্ষেপণ হচ্ছে না-কি ঠিকমতোই চলছে ইত্যাদি প্রশ্ন সবার মনেই উদয় হতে পারে, হয়তো তা ভাষায় প্রকাশ করা হয় না।। জবাবদিহিমূলক যথাযথ ব্যবস্থাপনা না থাকলে মনের গহীনে এ ধরনের প্রশ্ন জাগাটাই স্বাভাবিক। বর্তমানে নাযেরা বিভাগগুলোর উল্লেখযোগ্য উন্নতি পরিলক্ষিত হয় না। অভিভাবকদের কাছে নাযেরা বিভাগের শিক্ষার্থীদের তথ্য না থাকার কারণে ছাত্ররা ফাঁকি দিয়ে বেড়াচ্ছে ফলে হিফযের উপযুক্ত না হওয়ায় পিছিয়ে যাচ্ছে। উস্তাদ মহোদয়গণের যুগসচেতনতার অভাব ছাড়াও রয়েছে জবাবদিহিতা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার প্রচেষ্টা। প্রতিবেদন বা রিপোর্টবই ব্যবহার একজন ছাত্রকে দরস বা সবক। (পাঠ) ফাঁকি দেয়া কিংবা অজুহাত তৈরির মানসিকতা পরিহার। করে সতর্ক ও সচেতন হয়ে উঠতে সাহায্য করে। পড়াশোনায় হার-জিত সৃষ্টির মাধ্যমে উদ্যম ও চেতনা ফিরে আসে এবং জবাবদিহিতার ভয় ও ইতিবাচক অনুভূতি জাগ্রত হওয়ার কারণে নেশা ও স্পৃহা তৈরি হয়।। যার ফলশ্রুতিতে অযথা অলস সময় নষ্ট করা কিংবা কল্প চিন্তায় সময় ব্যয় করার মন-মানসিকতা থেকে সরে এসে একাগ্রচিত্তে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করার সদিচ্ছা সৃষ্টি হয়। সর্বোপরি অভিভাবক-পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবার বিশ্বাস ও আস্থা অর্জনে কার্যকর ভূমিকা রাখে এই নাযেরা তথ্য বই।