যাহা আছে বইটিতে…… ২০১৮ সাল হতে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায়, জার্নালে প্রকাশিত আমার লেখা সমূহের সংকলনে এই বইটি সাজানো হয়েছে। এই বইটিতে মূলতঃ আর্ন্তজাতিক ব্যবসা বাণিজ্য সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারনা দেওয়ার চেষ্ঠা করা হয়েছে। বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয়াবলীর সাথে আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যের গুরুত্ব সঠিক তথ্যাবলীর মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। বইটিতে ১৬ টি অধ্যায়ে আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য, বাংলাদেশে আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যে অতীত, সাম্প্রতিক, এবং ভব্যিষতের সম্ভবনা বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কিছু কিছু দেশের অর্থনীতির পতনের বাস্তব কারণ এবং পুনরায় অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গৃহিত নীতি কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যের সাথে সর্ম্পকীত বিষয়াদি যেমনঃ সুশাসন ও মানবধিকারের গুরুত্ব,ব্যবসায়-বাণিজ্যে নেগোসিয়েশন, বিনিয়োগ এবং বাণিজ্যের উপর জাতীয় বাজেটের প্রভাব ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীগনকে বিনিয়োগের সুষ্ঠ পরিবেশ সৃষ্টি ইত্যাদি বিষয়ে বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থা সমূহের ভুমিকা এই বইটিতে যৌক্তিকভাবে ব্যাখ্যা করা করা হয়েছে। রপ্তানি বাণিজ্যের আন্তর্জাতিক গতি প্রকৃতি এবং বর্তমান বাজার ও ব্যবসায়িক নীতির আলোকে দেশের শিল্প ও বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান বিকাশের ধারাকে প্রশমিত করার জন্য রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ কেন অপরিহার্য তা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা এমন একটি বৈশ্বিক সংস্থা যা সরাসরি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কাজ করে। এই সংস্থা গঠনের উদ্দেশ্য,কার্যাবলি কর্মপরিধি কিভাবে আর্ন্তজাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যে নিয়ামক হিসাবে ভুমিকা রাখে তা অত্যন্ত সুন্দর ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যের বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী এবং ব্যবসায়ীদের বাণিজ্য চুক্তি, বাণিজ্যিক জোট,ট্যারিফ নন-ট্যারিফ, এফটিএ এবং পিটিএ, ইকোনমিক রিফর্ম, বাণিজ্যনীতি, অ্যান্টি–ডাম্পিং শুল্ক আরোপ ইত্যাদি বাণিজ্যিক ইস্যুগুলো সাবলীল ভাষায় বর্ণনা করা হয়েছে। মার্কিন ডলার আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যে কিভাবে আধিপত্যের ধরে রেখেছে সেই বিষয়ে মার্কিনিদের গৃহিত কৌশলগুলো তুলে ধরা হয়েছে। সর্বশেষ মহামারী করোনার প্রভাবে বিভিন্ন খাতের বাণিজ্যের উপর করোনা যে পরিমান প্রভাব বিস্তার করেছে তা ধাপে ধাপে বর্ণনা রয়েছে বইটিতে। বিশ্বে বর্তমানে মার্কিন বলয়ে কয়েকটি আঞ্চলিক জোট-উপজোট এবং চীন-রাশিয়া বলয়ে আরো কয়েকেটি জোট/বাণিজ্যিক জোট রয়েছে। এই সকল জোট-উপজোটের বিশ্ববাণিজ্যে কতটুকু আধিপত্য বিস্তার করে এবং কোন জোটে বাংলাদেশ যুক্ত হলে লাভবান বেশী হবে সেই বিষয়গুলো বর্ণনা করা হয়েছে। বইটিতে ব্রিকস, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি, রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) জোটগুলো গঠনের অভিপ্রায়, কর্মপদ্ধতি, বৈশ্বিক বাণিজ্যে জোটগুলোর ব্যাপকতা বর্ণিত আছে । সর্বোপরি বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগতি এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ সমূহ ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।