সারসংক্ষেপ : আজ আমরা যা নিয়ে আলোচনা করব তা হলো ‘রমাযান মাসের আগমন’ সংক্রান্ত বিষয়ে। উপস্থিত আপনারা সকলেই জানেন সেই আসন্ন বরকতপূর্ণ মাহে রমাযান আসতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকী। তারপরেই ছেয়ে যাবে ব্যাপক কল্যাণ ও মহান মর্যাদা এবং প্রবাহমান ধারায় তার বরকত প্রবাহিত হতেই থাকবে। সুবহানাল্লাহ! তাহলে এ মাস কতই না মহান কল্যাণ ও বরকতের মাস! রমাযান মাসের আগমন যেন হয়েই গেল। এর আগমনে মুসলিমদের নিকট রয়েছে এক মহান মর্যাদা। যাকে পাওয়ার জন্য মুসলিমরা তাদের অন্তরে কতই না স্বপ্ন ও পরিকল্পনা অঙ্কন করে থাকে। কেননা এর আগমন ও এগিয়ে আসাকে বরণ করার জন্য কতই না প্রহর গুনতে হয়েছে এবং অপেক্ষার দৃষ্টি নিয়ে প্রত্যাশায় থাকতে হয়েছে। এ মাস যতই সন্নিকট হয় তারা ততই পরস্পরের মাঝে বিভিন্ন সুসংবাদ আদান-প্রদান করে থাকে। আর যখন তারা রমাযান মাসে পেয়েই যায় তখন তারা আনন্দ ও প্রফুল্লতায় মেতে উঠে। কেননা মুসলিমরা খুব ভালো করেই জানে যে, রমাযানের মৌসুম এক মহা বরকত ও কল্যাণের মৌসুম। যে মৌসুম বা ঋতু অন্যান্য মাসগুলোর চেয়ে বিশেষ বৈশিষ্ট্যময় ও বিশেষ মর্যাদায় বিশেষিত। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা যাকে মর্যাদা দেন তার আয়ুর প্রশস্ততা দান করেন এবং বয়সকাল বাড়িয়ে দেন যেন সে এ মহান মাসে পৌঁছতে পারে। তাই কোন ব্যক্তির জন্য এ মহান মাসটি পাওয়া যেন মহান রব আল্লাহর পক্ষ থেকে অনেক বড় অনুগ্রহ ও নিয়ামত। সে ব্যক্তি যেন এ মহা কল্যাণ ও বরকতের মৌসুমে ইসলামের অনুসারীদের সংস্পর্শে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। কেননা এ ইবাদতের মৌসুমটি দয়াময় আল্লাহর নৈকট্য লাভ, তাঁর আনুগত্য ও ঈমান হাসিলের অপার কৃপার মাস।