যাপিত জীবনে কুরআনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।যদিও এর গুরুত্ব আমাদের কাছে নেই।সূরের মূর্ছনায় তেলাওয়াত শুনতে পছন্দ করি।হৃদয়ে ধারণ করি না।আমলে কুরআনের প্রতিফলন ঘটে না।কুরআনের শিক্ষা হৃদয়াঙ্গম করার চেতনা বুকে লালন করি কিন্তু বাস্তবে এর প্রয়োগ হয় না।পবিত্রতা,ভক্তি, ভালোবাসা সবকিছু থাকার পরও কুরআনকে আগলে না রাখলে,জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে এর বাস্তবায়ন না ঘটালে কুরআনের সত্যিকারের সম্মান করা হয় না। প্রতিটি ক্ষেত্রে কুরআনের রয়েছে আলাদা তাৎপর্য, ঐশ্বর্য, মহত্ত্ব।শূণ্যতা কেবল আমাদের প্রায়োগিক পদ্ধতিতে।আমরা যদি এর সঠিক প্রয়োগ করতে সক্ষম হই তবেই সম্মান,শান্তি,ইহলৌকিক ও পরলৌকিক সমৃদ্ধি অর্জনে সফল হতে পারি। ধরাধামে যুগে যুগে অসংখ্য নবী রাসূল আলাহিমুস সালাম এসেছেন।তাদের প্রত্যেকের সাথেই একটা করে কিতাব কিংবা সহিফা ও এসেছে।যাদেরকে আল্লাহ তায়ালা কোন কিতাব কিংবা সহিফা প্রদান করেননি তাদের প্রতি আদেশ ছিলো পূর্ববর্তী নবী রাসূলগনের কিতাব এবং সহিফার অনুসরণ করার।তাঁরা সেটা করেছেন ও।এর কারণ ও আছে। একেবারে নতুন পরিবেশে আপনি একাকী চলতে পারবেন না।কিছু একটার অনুসরণ করেই চলতে হবে।সেটা হতে পারে কোন মানুষ অথবা লিখিত কোন গাইডলাইন। মানুষ হলে তারা যে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হবেন সেটা বলাই বাহুল্য।তারাই হলেন প্রেরিত নবী ও রাসূল আলাইহিমুস সালাম। আর লিখিত কিছু হলে সেটা হতে হবে স্রষ্টার পক্ষ থেকে আসা কোন অমীয় বাণী।একমাত্র স্রষ্টাই তাঁর সৃষ্টির ব্যাপারে পরিপূর্ণ ওয়াকিবহাল হবেন। দুনিয়াতে আগত মানুষের জন্য পবিত্র কুরআন ও এমনি এক গাইডলাইন।যা একেবারে মানুষের সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক প্রেরিত ও সংরক্ষিত।যাতে রয়েছে জীবন বিধানের যাবতীয় নিয়ম কানুন ও পথ প্রদর্শন।যারা মানবে তারা সফলকাম আর যারা মানবে না তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইহকালে ও পরকালে।