বিজ্ঞান ছাড়া আধুনিক সভ্যতা সম্পূর্ণ অচল। বর্তমান যুগের প্রতিটি মুহূর্তে ও পদক্ষেপে বিজ্ঞানের কাছ থেকে আমরা তথ্য আহরণ করছি। এই বিজ্ঞানকে বাদ দিয়ে আজ আমাদের অস্তিত্বই কল্পনা করা যায় না। অথচ আধুনিক প্রযুক্তি বিদ্যার যুগেও বিজ্ঞান মনস্কতা বৃহত্তর জনমনের কাছে এখনও চরম অবহেলিত। বিজ্ঞানের ছাত্র-শিক্ষক হয়েও বিজ্ঞান চর্চায় আমাদের আগ্রহ নেই। সে কারণেই আজ নতুন করে বিজ্ঞান মানসিকতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। পঠন-পাঠ, স্কুল কলেজে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রকে নানাভাবে প্রসারিত করা হচ্ছে। কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, ঐতিহাসিক, দার্শনিক, সমাজবিজ্ঞানী সবার মধ্যেই কমবেশি বিজ্ঞানমনস্কতা থাকা প্রয়োজন। সত্যিকার অর্থে বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিটি মানুষের মনের সংকীর্ণতা ও ভ্রান্তির আবরণ ভেদ করে বাস্তব সত্যের সন্ধান দেয় এবং সত্যকে চেনায়। আর বৈজ্ঞানিক চিন্তার বিকাশেই মানুষের ভ্রান্ত ধারণার অবসান ঘটে। একমাত্র বিজ্ঞানমনস্কতাই মানুষের মোহ অন্ধতা দূরীভূত করতে পারে। ফলে সে যুক্তিবাদী ও বিচার বোধ সম্পন্ন হয়ে ওঠে। তাই সবাইকে বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম ও অনস্বীকার্য।
Moin Mursalin এ সময়ের উজ্জ্বল একনিষ্ঠ সাহিত্যকর্মী। তাঁর ধ্যান-জ্ঞান-বিচরণ-মননজুড়ে শুধুই সাহিত্য। তিনি একাধারে কবি, শিশুসাহিত্যিক, প্রকাশক, সম্পাদক ও সাহিত্য সংগঠক। জন্ম ১৯৮৪ সালের ১০ জানুয়ারি ঢাকার মগবাজার মধুবাগ পিত্রালয়ে। শিক্ষাজীবনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। ছোটবেলা থেকেই মঈন মুরসালিন জড়িয়ে পড়েন সাহিত্যের সাথে। নিয়মিত লিখছেন জাতীয় দৈনিক, মাসিক, সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলোতে। এ যাবৎ প্রকাশিত মৌলিক গ্রন্থ ১৭টি। কর্মজীবনের সূচনা প্রকাশনার মাধ্যমে। নিজস্ব মেধা মনন দিয়ে গড়ে তুলেছেন ‘প্রতিভা প্রকাশ’ নামক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। প্রতিভা প্রকাশ থেকে এ যাবৎ প্রকাশিত হয়েছে চার শতাধিক গ্রন্থ। তিনি ২০০৬ সাল থেকে নিজ সম্পাদনায় নিয়মিত প্রকাশ করেন ছোটদের পত্রিকা ‘কানামাছি’। এছাড়াও জড়িত আছেন বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে।