প্রত্যেকটি মানুষের জীবনেই কোনো না কোনো সময় দেখা দেয় প্রেম। কারণ জীবনের পরতে পরতে থাকে নানা রঙের প্রেম। কারো জীবনের প্রেম আবার বাঁক নেয় এদিক সেদিক। কারো জীবনে প্রেম আসে গোপনে, কারো আসে প্রকাশ্যে। কেউ প্রেম ধরে রাখতে পারে, কেউ পারে না। যদিও প্রেমের মরা জলে ডুবে না তবুও প্রেমের সাগরে ভাসে কেউ, কেউ আবার ডুবে যায়। অসম প্রেম, সুষম প্রেম, অন্ধ প্রেম, মন্দ প্রেম ইত্যাদি আমাদের জীবনের অংশ। প্রেম মানে না বাধা। যার কারণে সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়েও ধরা দেয় দেয় স্বর্গ থেকে নেমে আসা সেই প্রেম। প্রেমের টানেই সামপ্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে আসছেন তরুণীরা। সেই অর্থে বলাই যায় বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে প্রেমের ছড়াছড়ি। এত এত প্রেম যখন চারদিকে। সেই সময় প্রেমের কবিতার একটি সংখ্যা না করলেই নয়। বাঙালির মনে কত যে প্রেম উঁকি ঝুঁকি দেয় বিশেষ এই সংখ্যা না করলে হয়তো টেরই পেতাম না। দুষ্টু মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান এই বিশেষ আয়োজন। প্রেমের কত রং কত আয়োজন। প্রেম যে কোন বাধা মানে না তাও পাওয়া যাবে এক মোড়কের এই কাব্য সংকলনে। এটি নিশ্চিত ১০০ মানুষের ১০০ প্রেমের কবিতায় ১০০ রকমের স্বাদ। মানুষের জীবনের পরতে পরতে জমে থাকা প্রেম কবিতা হয়ে এসেছে এই প্রেমের কবিতা সংখ্যায়। প্রতিটি কবিতা লেখকের নিজস্ব মস্তিষ্ক প্রসূত। কারো জীবনের সাথে মিলে গেলে সেটি হবে কাকতাল মাত্র। কবিতা সংখ্যায়ও কেউ কেউ পাঠিয়েছেন গল্প। নির্দিষ্ট ফরমেট না মেনে পাঠিয়েছেন কবিতা। কারো কবিতায় নাম নেই কারো কবিতায় কবির নাম নেই। এসব কারণে বাদ হয়ে গেছে বেশ কিছু কবিতা। যারা মূল্যবান সময় খরচ করে কবিতা পাঠিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি রইল উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আর যারা পরিশ্রম করে প্রকাশনী থেকে আলোর মুখ দেখাতে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি রইল ভালোবাসা। এছাড়া বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি রইল অসীম কৃতজ্ঞতা। রমজানের ঈদের সবাই ঈদ সংখ্যা প্রকাশ করে। আমরা ঈদুল আযহার এবার ব্যতিক্রমী আয়োজন হিসেবে প্রকাশ করলাম ১০০ প্রেমের কবিতা নিয়ে বিশেষ ঈদ সংখ্যা। আশা করি আমাদের এই আয়োজন সবার ভালো লাগবে। আসন্ন ঈদ হোক সবার জন্য আনন্দের, সেই কামনায় সবাইকে ঈদ মোবারক।
গণমাধ্যমেই ১ যুগের বেশি কাজ করছেন মাইদুর রহমান রুবেল। টেলিভিশনে সবমিলিয়ে প্রায় ৯ বছর। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন এবং লুৎফুননেছা বেগমের জ্যৈষ্ঠ সন্তান তিনি। একাডেমিকভাবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং এলএলবি পাশ করে আদালত পাড়ায় ঘোরাঘুরির বদলে ঘুরপাক খাচ্ছেন গণমাধ্যমে। ২০১১ সালে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ছোট গল্পগ্রন্থ 'ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট'। এছাড়া নিয়মিত সম্পাদনা করছেন সৃজনশীল সাহিত্যের কাগজ 'কালস্রোত' এবং বাংলাদেশের একমাত্র ভূত বিষয়ক পত্রিকা 'ভূত ডটকম'। বেড়ানো আর আড্ডাপ্রিয় মানুষ তিনি। ১৯৯৮ সালে নারায়ণগঞ্জের আইইটি স্কুল এর ম্যাগাজিন এবং এলাকাভিত্তিক ছোট কাগজে শুরু হয় লেখালেখির হাতেখড়ি। পুরোদমে যাত্রা শুরু হয় নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় খবরের কাগজে লেখালেখির মাধ্যমে। পরে জেলার গণ্ডি পেরিয়ে দৈনিক যুগান্তরের মাধ্যমে অভিষেক ঘটে জাতীয় দৈনিকে লেখার। ২০০৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত যুগান্তরের স্বজন সমাবেশের সভাপতির দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। এর আগে প্রথম আলো বন্ধুসভাসহ প্রায় কুড়িখানিক সংগঠনের সাথে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল তার। এর বেশিরভাগ সংগঠনের সভাপতির দায়িত্বও পালন করতে হয়েছিল একই সাথে। বর্তমানে বেঙ্গল মিডিয়া কর্পোরেশন লিমিটেড 'আরটিভি'র নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত।