বাঙালি জাতির জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে বাংলাদেশের 'স্বাধীনতা'। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ 'কালরাত'-এ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যখন অতর্কিতভাবে বাংলার মানুষের ওপর আক্রমণ করে তখন বাঙালিদের সামনে যুদ্ধের বিকল্প ছিল না। নিরস্ত্র বাঙালিদেরকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও রাজাকারদের বিপক্ষে ২৬৬ দিন বা দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস লড়াই-সংগ্রাম করতে হয়। জীবন দিতে হয় ৩০ লাখ। প্রাণবন্ত মানুষের। সম্ভ্রমহানি হয় দুই লক্ষ মা-বোনের। বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে যে মানুষটি এগিয়ে আসেন তিনি হলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শুরু হয় স্বাধীনতা অর্জনের যুদ্ধযাত্রা। পাকিস্তানি বিরোধী মিটিং-মিছিল, আন্দোলন-সংগ্রামে তিনিই নেতৃত্ব দেন। সেই আন্দোলন-সংগ্রামে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিডিআর, আনসার ও সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এদেশের শিশু-কিশোরেরাও পিছিয়ে ছিল না। তারাও সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ঠিক কতজন কিশোর ও তরুণ অংশ নিয়েছিল তার কোন সঠিক তথ্য-প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায় না। এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে- একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যে ৩০ লাখ মানুষ শহিদ হন তার মধ্যে। সাড়ে চার লাখই ছিল শিশু-কিশোর এবং তরুণ। অসংখ্য তথ্য-পরিসংখ্যানে সমৃদ্ধ 'মুক্তিযুদ্ধে শহীদ শিশু-কিশোর' বইটি লেখার জন্যে লেখককে কতোটা পরিশ্রম করতে হয়েছে সেটা পাতা উল্টালেই বোঝা যাবে। আশা করি বইটি সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। বইটি সকলের ভালো লাগলে লেখক-প্রকাশকের শ্রম সার্থক হবে।
দুই বাংলার পাঠকপ্রিয় কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ। লেখেন উপন্যাস, কিশাের উপন্যাস, শিশুতােষ বই, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক, কবিতা ও খেলার বই।। অনুবাদ ও সম্পাদনাতেও রয়েছে দক্ষতা। অনুবাদ ও। সম্পাদনা করেছেন পৃথিবীর বিখ্যাত কবিদের কবিতা ।। বলা যায়, সাহিত্যের সব শাখায় তার রয়েছে অবাধ। বিচরণ। লিখছেন আড়াই দশক ধরে। বাংলাদেশ ও। ভারতে প্রকাশিত তার বইয়ের সংখ্যা সব মিলিয়ে। দু’শতাধিক। ১৯৮৯ সালে লেখা শুরু। ১৯৯২ সালের একুশে বইমেলায় একসাথে ৬ খানা বই প্রকাশের মধ্যে দিয়ে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। ১৯৯৫ সালে তিনি। প্রথম লেখক হিসেবে বাংলা একাডেমি বইমেলায় ‘একক বইয়ের স্টল’ করেন। যা তখন ব্যাপক প্রশংসিত হয়। এ বছরই তাঁর নেতৃত্বে গঠিত হয় “বাংলাদেশ লেখক। পরিষদ”। তিনি প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। দীর্ঘদিন। ক্রীড়ালেখক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। ২০০৪ সালে অমরেশ বসু কলেজ সাহিত্য সম্মাননা, ২০১৪ সালে কলকাতার (পশ্চিম বাংলা, ভারতের) ইতিকথা সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন ও একই বছর। ক্রীড়ালেখক সমিতি আয়ােজিত ইন্টারন্যাশনাল স্পাের্টস প্রেস-ডে (এআইপিএস-ডে) সম্মাননায় ভূষিত হন। । ১৯৬২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মাগুরা জেলার পুখরিয়া। (আলােকদিয়া) গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পীর পরিবারে জন্ম ।। পিতা মরহুম সৈয়দ হাসান আলী, মা মরহুমা সৈয়দা। আয়েশা হাসান। ৯ ভাইবােনের সবার ছােট। ১৯৯৫ সালে তিনি বিয়ে করেন। স্ত্রী অধ্যাপক শাহানা পারভীন। লাভলী এবং দুই কন্যা আয়েশা ঋদ্ধি ও আয়েশা ঋতিকে। নিয়ে ঢাকার মিরপুরের সেনপাড়া পর্বতায় লেখকের। সুখের সংসার।