গল্পসূত্র সফর আলী তরুণ পুলিশ অফিসার। দায়িত্ব পান কামরুন নাহার নামের এক সহকর্মীর আগুনে পুড়ে মৃত্যু মামলার তদন্তের। তারপর ঘটতে থাকে একের পর এক ঘটনা। লাশ পাওয়া যায় যুবনেতা খোকনের। দুর্ঘটনায় পা হারান ডিউটি অফিসার আরতি চাকমা। সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান এসআই হামজা। মৃত্যুগুলোর একটার সাথে অন্যটার যোগসূত্র নেই; কিন্তু এদের সবার মধ্যে আরেকটি কমন ঘটনা আছে, সেটা হলো এদের সবার পায়ে পোড়া দাগ দেখা গেছে। কী করে, কেন হলো কালো অর্ধচন্দ্রাকৃতির দাগÑসেটা না আছে নিহতদের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে, না আছে আহতদের স্মৃতিতে। এই কালো দাগকে ঘিরে শুরু হয় আরেক রহস্য। শুধু তা-ই নয়, টিনা ও বদরুল নামের আরো এক দম্পতির অপমৃত্যুর সাথে জড়িয়ে যায় এই দাগ। সে মেয়েটি তার নাম বলেছে সাবিনা। আসলে তার নাম সাবিনা নয়। যে আলমের নম্বর পাওয়া গেছে, সে আসলে জড়িত নয়, যে কিছুটা কনফিউশনে ফেলে দিয়েছে, সেও খুন করেনি। সাবিনা কেন নাম বদলাল? আলমের ফোন নম্বর কীভাবে সেখানে গেল? ডায়েরির তথ্যের সাথে বাস্তবের মিল নেই কেন? পেনসিলে লেখা ফোন নম্বরটি কার? কেন অপরিচিত এক মহিলা মধ্যরাতে ফোন করে বলল তার স্বামীই যুবনেতার আসল খুনি? এর মধ্যে ক্ষণিকের জন্য আসে আলম। বাস্তবের এক চরিত্র। সে মা-বাবা-বোন হারিয়েছে, নাকি আসলে নিজেই নিজেকে হারিয়েছেÑআলম তা জানে না। তারপর এসে দাঁড়ায় অদৃশ্য এক চরিত্রÑতাকে দেখা যায় না, তার কোনো গল্প শোনা যায় না, ছোঁয়া যায় না, তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না, তার পরিচয় জানা যায় না; তবু সে প্রতিটি ঘটনার সাথে মিশে আছে। কে সে? কী তার রহস্য? কীভাবে সে জড়িয়েছে ঘটনাগুলোর সাথে? রহস্যের কফিনে মোড়া এক গল্প। পাঠক, রহস্য ভেদ করতে চলুন পড়ে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
অস্টম শ্রেণী ছাত্র থাকা অবস্থায় তার লেখা জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ছাত্রজীবন থেকে তিনি লেখালেখি, বিতর্কসহ বিভিন্ন বিষয়ে বহু পুরষ্কার পেয়ে আসছেন। দেশের প্রায় সব পত্রিকায় তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। প্রথমে রম্য লিখলেও পরে তিনি জীবনমুখী লেখনীতে মনোনিবেশ করেন। এযাবত বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে তার হাজারের বেশী লেখা রয়েছে। এগুলো আত্মগঠন, ব্যবসা বাণিজ্য, পর্যটন ও লোকসাহিত্য নিয়ে। বিষয় বস্তুর নির্বাচন ও নিজস্ব বর্ণনাভঙ্গি তাকে ‘‘জীবনমুখী লেখক’’ হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। মজা করে লিখতে পারেন বলে তার লেখা পাঠক শুরু থেকে শেষ অবধি পাঠ করেন। তার লেখায় থাকে গল্পময়তার ছাপ। বাংলাভাষায় কর্মাশিয়াল কনটেন্ট লেখনিতে তিনি একজন পথিকৃত। অনলাইনে তার ই-কমার্স ও আত্ম উন্নয়নমুলক লেখাসমূহ পাঠকের প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডেও রয়েছে তার সরব উপস্থিতি। ২০১৬ সালে পায়ে হেঁটে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ ভ্রমণ করেন। ৪৬ দিনে ১১৭৬ কিলোমিটারের এই পদযাত্রা নিয়ে রচনা করেন অন্যরকম ভ্রমণকাহিনী ‘‘দেখব বাংলাদেশ গড় বাংলাদেশ’’। ২০১৭ সালে তিনি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন এর বিবেচনায় দেশের ৪০ জন প্রশংসিত ব্যক্তির একজন নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে দেশের প্রথম ই-কমার্স সামিটে তিনি দেশ সেরা ই-কমার্স কনটেন্ট রাইটার পুরষ্কার জিতেন।
বাংলাদেশের বাস্তব প্রেক্ষাপটে লেখা তার আত্ম -উন্নয়নমূলক লেখনী তরুনদের উপলব্দির জায়গায় স্পর্শ করে। তার বিভিন্ন লেখায় অনলাইনে পাঠকের উচ্চসিত মতামত সেকথাই বলে।
একসময় রাখালী নামে একটি লোকসাহিত্যের ছোট কাগজ সম্পাদনা করতেন। লেখাপড়া করেছেন ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। জাহাঙ্গীর আলম শোভনের জন্ম ফেনী জেলার দাগনভূঁঞা উপজেলায় মামাবাড়িতে। পৈত্রিক নিবাস নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়। এখানেই কাটান শৈশব কৈশর। বর্তমান স্থায়ী নিবার ফেনী জেলায় হলেও কিন্তু কর্মসূত্রে তিনি ঢাকায় বসবাস করেন। জাহাঙ্গীর আলম শোভনের বাবা একজন অসবরপ্রাপ্ত সরকারী চাকুরে আর মা গৃহিনী।