আফারীত ১ এক মহাগাঁথার প্রারম্ভ.... সম্প্রতি আম্মিরার বাবা ওদুদের মৃত্যুর পর থেকে সে কিছু অদ্ভুত ঘটনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যা বাস্তব নাকি কল্পনার সমন্বয়ে সৃষ্ট, তা সে বুঝতে পারছে না। ক্রমাগত সেই সব বিদঘুটে ঘটনার মধ্যেও আম্মিরার একটু প্রশান্তির নাম হচ্ছে এসমাদ। নীল চোখের অতীব সুন্দর পুরুষটিকে আম্মিরা নিজের প্রফেসর হিসাবেই জানে। তবে তার আরও একটি পরিচয় রয়েছে। এসমাদ, যিনি কিনা সাধারণ কোনো ইনসান নন। তিনি স্বয়ং ইফ্রীত্বদের যুবরাজ ও ভবিষ্যৎ বাদশাহ, কিন্তু এটি আম্মিরার অজানা। এদিকে আম্মিরার পিতা ওদুদের জন্যই আফারীতরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। এতকিছুর মধ্যে আদৌ কি এসমাদ ও আম্মিরার ভালোবাসা পূর্ণতা পাবে? যেখানে একজন ইনসান এবং আরেকজন জিন! নাকি আরশি জগতের অবয়বের বিভ্রমে হারিয়ে যাবে তাদের ভালোবাসা? আফারীত ২ "আফারীত" এক স্বপ্নের নাম। যার অস্তিত্ব কল্পনায় রয়েছে কিংবা বাস্তবে। পূর্ব নির্ধারিত সত্য বিশেষ কোনো কারণে আড়ালে চলে গেলেও একদিন নিজস্ব আলোকচ্ছটায় প্রকাশিত হবেই। অতীত দিনকে নিয়ে আম্মিরার আত্মবিস্মরণ হলেও সেই বিশেষ স্বত্তাগুলো এখন যেন তার নিশ্বাসের সঙ্গে মিশে আছে। ক্ষণে ক্ষণে আম্মিরা তাদের উপস্থিতি উপলব্ধি করতে পারে। বিশেষ করে হাতের শিরাগুচ্ছ সবুজবর্ণ ধারণ করলে। কেন এমন হয় তা সে জানেনা। মাঝেমধ্যে মেয়েটির স্মরণে আসে যে জীবনটা সে উপভোগ করছে সেটা তার নিজস্ব নয়। আর দশটা সাধারণ মেয়ের মতোন সে জীবনযাপন করলেও, রাস্তার পাশে অবস্থিত বাদামী কাঁঠের বাড়ীর সামনে দাঁড়ানো সেই শোভন ছেলেটির নীল চোখ দুটো সময়ে সময়ে তাকে বড্ড উদাসীন করে তুলে। সবটা হারিয়ে যাওয়ার পর নতুন করে ফিরে পাওয়ার গাঁথা কেমন হবে? নাকী ফিরে পাওয়া মানেই হচ্ছে হারিয়ে ফেলা? আফারীত -৩ অদূরে দফ বেজে চলেছে। সুরতরঙ্গের মূর্ছনায় ডুবে যাচ্ছে এক অংশনীয় শক্তির স্বত্ববান। উত্তম শক্তির বিপরীতে সে একজন শয়তানের বাহক। স্বীয় জন্মলগ্ন থেকে নরকের অগ্নিতে দগ্ধ হওয়ার জন্য অদৃষ্ট তৈরি ছিলো আন্দ্রেয়াজের। এক অভিশাপ, লোভ, আশংকা সমস্ত কিছুর প্রতিফলনের ফলে জন্ম নেয় শয়তানের দূত। অথচ অসত্যের ধ্বংসক সত্যের পরাজয় কখনো সম্ভব নয়। অভিশাপকে মথিত করবে নীল রঙের আলো। যে জন্ম নিয়েছে আন্দ্রেয়াজের অতি প্রিয়ভাজন হিসেবে। আফারীতদের বাদশাহ এসমাদের সামনে বিশাল এক প্রহেলিকা। সত্যকে রক্ষা করতে সে কি শেষ অবধি পরিত্রাণ পাবে মহামান্য আন্দ্রেয়াজের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলার থেকে? সবকিছুর পরিসমাপ্তি ঘটতে চলেছে। কিংবা চক্রকারে পুনরায় শুরু হতে চলেছে সব।
সামিয়া খান প্রিয়ার জন্ম টাংগাইল শহরে।বর্তমানে স্নাতকে পড়াশোনা করছেন।লেখালেখি তে খুব অল্প দিন ধরে আছে। আফারীত সিরিজ ও সুদূরিকা দিয়ে পাঠকমহলে বেশি পরিচিত। তাঁর অন্য বইগুলো হচ্ছে চৈতি হাওয়া, পরব প্রিয়ার বেণীঁ বাধন, মিঠা রোদ, এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম প্রেম মেলে না।